ঘাটের চাঁদা যায় নেতা ইউএনও ওসির পকেটে, অডিও ভাইরাল

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, ২৩ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ঘাটকে ঘিরে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব। মাছ, শাকসবজি থেকে শুরু করে মাদকের চালান—সবকিছুর টাকার ভাগ চলে যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতা, ইউএনও, ওসি ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে। এ নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং পুরো জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সূত্র জানায়, ঘাট থেকে প্রতিদিন আদায়কৃত অর্থের ২০ শতাংশ কমিশন চর এলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাস্টারের কাছে জমা হয়। পরে সেই অর্থ উপজেলা বিএনপি, জেলা পর্যায়ের নেতা, ইউএনও, ডিসি ও ওসির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন কর্নেল জেহাদ খান

অডিওতে ছাত্রদল নেতা ইস্কান্দার মির্জাকে অভিযোগ করতে শোনা যায় যে, তিনি এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ লাখ টাকা চাঁদা দিয়েছেন। তার দাবি—ঘাট নিয়ন্ত্রণে থাকা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার, ইব্রাহিম তোতা, ইসমাইল তোতা প্রমুখ নিয়মিত কমিশন নেন এবং এর একটি অংশ স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছে যায়।

অন্যদিকে, স্থানীয় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একাধিক সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে এলাকায়। এর ফলে চর এলাহী বর্তমানে পরিণত হয়েছে এক রক্তাক্ত জনপদে।

আরও পড়ুন: কাপাসিয়ায় আড়াই হাজার ফুলকপি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, কেমন শত্রুতা!

তবে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম দাবি করেছেন, “চর এলাহী ঘাটের বিষয়ে পুলিশ কিছু জানে না।” একইভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, ঘাটের মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় প্রশাসন ইজারা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলগীর আলো বলেন, “বিএনপি সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল। প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।”