সাতক্ষীরা উপকূলের জেলেদের সময় কাটছে নৌকা-জাল মেরামতে
সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা বর্তমানে দিন কাটাচ্ছেন নৌকা ও জাল মেরামতের কাজ নিয়ে। তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা সাগর ও বনমুখী হতে পারছেন না।
জেলেরা জানাচ্ছেন, বনে প্রবেশ (নিষেধাজ্ঞা) শেষ হলে আবার সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন। সেই আশাতেই তারা নৌকা রং করা, কাঠ মেরামত, ছিদ্র বন্ধ করা ও পুরনো জাল নতুন করে বুনে নিচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা শেষে একসাথে বেশি পরিমাণে মাছ ও কাঁকড়া ধরা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: নতুন বছরের প্রথম দিন পর্দা উঠছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
স্থানীয় জেলে আকবর আলী বলেন, তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ পাশ বন্ধ থাকায় আমরা কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। পাশ খুললে আবার বনমুখী হবো, তখন হয়তো ভালো মাছ-কাঁকড়া পাওয়া যাবে।
বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন সংলগ্ন এলাকার মনিরুল ইসলাম বলেন, তিন মাস বনে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার প্রায় শেষ পথে আমরা জাল-নৌকা মেরামতের কাজে ব্যস্ত আছি। তিনি আরো বলেন, তিন মাস পরে সুন্দরবনে বৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ, কাঁকড়া আহরণ করতে পারব বেশি—এমনটাই আশা রয়েছে আমাদের। তবে এই তিন মাস বন্ধ থাকার কারণে অসাধু মাছ শিকার চক্র অবৈধভাবে সুন্দরবনের প্রতিটি খালে বিষ মেরে মাছ-কাঁকড়া ধ্বংস করে দিয়েছে। এজন্য হয়তো আমরা সেইভাবে মাছ-কাঁকড়া তেমন পাবো না বলে খবর শুনতে পাচ্ছি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে আমরা যে আশায় জাল-নৌকা মেরামত করছি হয়তো আমাদের সে আশা সব শেষ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: মুক্ত গণমাধ্যম যেন দায়িত্বহীন না হয়: এম আব্দুল্লাহ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞার সময় বন ও জলজ সম্পদের প্রজনন বেড়ে ওঠে। ফলে পাশ শেষে জেলেদের জালে ধরা পড়ে বেশি পরিমাণে মাছ ও কাঁকড়া, যা জীবিকা নির্বাহে বড় সহায়ক হয়।





