গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জে বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০ জন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাথর নিক্ষেপে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের অধিকাংশই মাথা, মুখ, চোখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা ও সাবেক সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন আলমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। আজ শুক্রবার দুপুরে গোপালপুর গ্রামে জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদের ভিতরে গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাঙালি নদীর উত্তোলিত বালু নিয়ে দুই গ্রুপের কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে গ্রামবাসী দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাথর নিক্ষেপের ঘটনা অব্যাহত থাকে। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকাল ৫টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ ব্যক্তি আহত হয়। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: বাবাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, পুলিশের হাতে আটক ছেলে
এ বিষয়ে জানতে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা ও সাবেক সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন আলমকে মুঠোফোনে কল দিলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বুলবুল ইসলাম বলেন, গোপালপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়েছি, এখন পরিস্থিতি শান্ত। সংঘর্ষের ঘটনায় কোন পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: 'মা ইলিশ সংরক্ষণ-২০২৫' উপলক্ষে চাঁদপুরে নৌবাহিনীর অভিযান