চায়ের দোকানি দিয়ে চলছে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ

Sanchoy Biswas
মাহমুদুল হক শুভ, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)
প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ন, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:০১ অপরাহ্ন, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অনিয়মে জর্জরিত। হাসপাতালে কোনভাবেই ফিরছে না শৃঙ্খলা। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, গর্ভবতী নারী ও শিশুসহ বিভিন্ন ধরনের মুমূর্ষু রোগী জরুরি সেবা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেও মিলছে দায়সারা চিকিৎসা সেবা। এমনকি বহিরাগত লোক দিয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দিচ্ছে চায়ের দোকানি।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মুফাজ্জল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চা বিক্রি করে। এরপর বিকালে চলে যান ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে। সেখানে তাকে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের ভূমিকায় দেখা মেলে। জটিল রোগীর সেবা দিতেও দেখা যায় তাকে।

আরও পড়ুন: কমলনগরে অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন টুমচরির নির্দেশে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ

সেবা নিতে আসা উপজেলার শর্শি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মনসুর মিয়া প্রতিবেদককে বলেন, আমার ছেলে অটোরিকশার সাথে ধাক্কা খেয়ে গলায় কাচের টুকরা ঠুকে গুরুতর আহত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে এই ছেলে (মুফাজ্জল) তার গলায় সেলাই করে দেয়। আমরা তো বাবা এত কিছু চিনিও না বুঝিও না। এমন জটিল চিকিৎসা যদি চায়ের দোকানদার দেয় তাইলে তো ভয়ে মানুষ হাসপাতালই আইতো না।

জানা গেছে, চিকিৎসক সংকটের কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা। সেই সুযোগে ঘোলাটে পরিবেশে দায়সারা চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকগণ। বহিরাগত দুই জন স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে চলছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ।

আরও পড়ুন: লাশ পড়ানো ও পুলিশের গাড়ি হামলার ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, বহিরাগতরা জরুরি বিভাগে সব সময় ফ্রি সার্ভিস দেওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কায়দায় রোগীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। এছাড়াও ফ্রি সার্ভিসের আড়ালে তারা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রাইভেট হাসপাতালে রেফার্ড করাসহ বিভিন্ন ডায়াগনস্টিকে রোগী পাঠিয়ে কমিশন বাগিয়ে নিচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চা বিক্রেতা মুফাজ্জলের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি, আমার কতজন স্টাফ আছে এ বিষয়েও আমি অবগত নই। আপনি যে বিষয়টি বলেছেন আমি খতিয়ে দেখব।