আন্দোলনের মুখে রাবিতে পোষ্য কোটা স্থগিত

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৫২ পূর্বাহ্ন, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:৫২ পূর্বাহ্ন, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, এ বিষয়ে রোববার জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে।

এর আগে বিকেল থেকে শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে এ সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীরা কেবল স্থগিত নয়, উপাচার্যের নির্বাহী ক্ষমতাবলে কোটা বাতিলের ঘোষণা দাবি করে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। রাত দেড়টার দিকে পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন।

আরও পড়ুন: নাজিরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

শনিবার বিকেল ৩টার দিকে সহউপাচার্য (প্রশাসন) প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হলে শিক্ষার্থীরা তার গাড়ি আটকে দেন। পরে তিনি হেঁটে বাসভবনে যাওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ অবস্থায় তিনি জুবেরী ভবনে প্রবেশ করেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা সহউপাচার্য মাঈন উদ্দীনসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে সেখানে আটকে রাখেন।

প্রায় সাত ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর রাত সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবনের অবরোধ তুলে নেন। এতে সহউপাচার্যসহ শিক্ষকরা মুক্ত হন।

আরও পড়ুন: পিরোজপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটিকে জামায়াতের শুভেচ্ছা

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আবদুল আলিম সহউপাচার্যকে ‘লাঞ্ছিত’ করার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ জন্য রোববার কর্মবিরতির ডাক দেন তিনি।

অন্যদিকে, উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, আমরা ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি সামলাচ্ছি। তবে এভাবে জিম্মি করে আটকে রেখে সিদ্ধান্ত হতে পারে না। শিক্ষার্থীরা যা করেছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, রাকসু নির্বাচন হবে কি না, তা শিক্ষার্থীদের আচরণের ওপর নির্ভর করবে। তবে আমি রাকসু নির্বাচন নিয়ে খুবই সিরিয়াস।

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা স্থগিত নয়, বরং পোষ্য কোটার পূর্ণ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।