ভাঙ্গায় সালিশ বৈঠকে সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত ২০

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সালিশ বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি হলেন ওই গ্রামের মৃত আনোয়ার মাতুব্বরের ছেলে জাকু মাতুব্বর (৩০)। আহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: রায়পুরায় কাউকেই গ্রীন সিগন্যাল দেওয়া হয়নি বলে দাবি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। একজন নিহত হয়েছেন। তার লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে আলগী ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামের কুতুবউদ্দিনের একটি ভ্যান চুরি হয়। এ ঘটনায় সোনাখোলা গ্রামের মহসিনের ছেলে সালাহউদ্দিন ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় গ্রাম পুলিশদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক
চুরির ঘটনাটি মীমাংসা করতে রোববার সন্ধ্যার পর সোনাখোলা গ্রামে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে কুতুবউদ্দিন ও তার লোকজনকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন সালাহউদ্দিন ও তার সহযোগীরা। এ নিয়ে সালাহউদ্দিন ও বাদশা মাতুব্বরের অনুসারী জাকু মাতুব্বরের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নিহত হন জাকু মাতুব্বর এবং উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত দুইজনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।