তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি, নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে দ্রুত বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। এতে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই অবস্থায় রয়েছে। পানির এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৪ মিটার, যা বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ১৫ মিটার) মাত্র ১ সেন্টিমিটার নিচে। পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
আরও পড়ুন: রায়পুরায় কাউকেই গ্রীন সিগন্যাল দেওয়া হয়নি বলে দাবি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উজানের ভারতের দার্জিলিং ও কালিম্পং অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল নামছে। এতে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বেড়ে নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার তীরবর্তী এলাকায় নদীভাঙন ও বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
তিস্তার পানি আরও বাড়তে থাকলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিসা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, গয়াবাড়ী এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী ও শৌলমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব এলাকায় অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় গ্রাম পুলিশদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, “ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি ক্রমাগত বেড়ে চলছে। পানি আরও বাড়লে পুরো এলাকা তলিয়ে যাবে, ঘরবাড়ি হারাবে শত শত পরিবার।”
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “বিকেল ৩টার দিকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার মাত্র ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাতে পানি আরও বাড়তে পারে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”