কমলনগরে স্ত্রী ঘুমে, স্বামী ঝুলছিল ফাঁসির রশিতে

Sanchoy Biswas
হাবিবুর রহমান, কমলনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:১২ অপরাহ্ন, ০৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১:১৫ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্ত্রীকে ঘুমে রেখে ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন মো. জাবেদ (২৬)। সোমবার রাত আনুমানিক এগারোটার দিকে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের মধ্য চর মার্টিন গ্রামের টুমচরওয়ালাগো বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. জাবেদ ওই এলাকার মৃত হাফিজ উল্লার ছেলে। পেশায় ছিলেন গাড়িচালক। ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা—এ বিষয়ে এলাকায় নানা ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নিহত জাবেদের স্ত্রী সুমাইয়া বেগম সাংবাদিককে জানান,

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১

সোমবার রাত আনুমানিক নয়টার দিকে স্বামী-স্ত্রী দুজন একসাথে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘণ্টা দুয়েক পর হঠাৎ ঘুম ভাঙলে দেখেন তার স্বামী বিছানায় নেই। পাশের একটি রুমে গিয়ে দেখতে পান তার স্বামী ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে। পরে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে জরুরি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক জাবেদকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, দুজনের পছন্দ মতো দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। গাড়িচালক স্বামীর সামান্য রোজগারে কয়েক মাস ধরে তাদের সংসারে টানাপোড়েন চলছিল। এরই মধ্যে ঋণগ্রস্ত হয়ে কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন জাবেদ। এসময় স্বামীর এমন মৃত্যুতে এক বছর বয়সী শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে আহাজারি করতে দেখা যায় তাকে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে: ড. মঈন খান

নিহত জাবেদের মা মেশকাত বেগম জানান, বাড়িতে ছেলে আর ছেলের বউ ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। অন্য ছেলেরা কেউ বাড়িতে থাকেন না। কয়েকদিন ধরে তিনি আরেক মেয়ের বাড়িতে ছিলেন। রাতে মোবাইলে জানতে পারেন ছেলে জাবেদ গলায় ফাঁস লাগিয়ে মারা গেছে। এর বেশি কিছু বলতে পারেননি তিনি। তবে ছেলে হারানোর শোকে বারবার মূর্ছা যেতে দেখা যায় তাকে।

এ বিষয়ে কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যু ধারণা করা হলেও পরিবারের কথাবার্তায় রহস্য থাকায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।