কাপাসিয়ায় এস এস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধাবিকাশ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার শাহজাহান স্মৃতি ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মেধাবিকাশ বৃত্তি পরীক্ষা শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ গিয়াস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সুশৃঙ্খল পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ও অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক মন্ত্রীর এপিএসের নির্দেশে ১০ হাজার টাকায় নির্বাচন কার্যালয়ে আগুন
মেধাবিকাশ বৃত্তি পরীক্ষা পরিদর্শন করেন এস এস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষানুরাগী সমাজসেবক শিল্পপতি ফ. ম. মমতাজ উদ্দীন রেনু, আইআরডিও চেয়ারম্যান ডা. মাসুদুল আলম মজিব, শাহজাহান স্মৃতি ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি সমাজবন্ধু মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুস সাত্তার শেখ, কেন্দ্র সচিব খালেদ মোশাররফ এবং প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন জসিম, আব্দুস সাত্তার শেখ, মো. জালাল উদ্দিন মাস্টার, শ্রী সুনীল চন্দ্র সেন, কবি আফিয়া রুবি, আসাদুজ্জামান আসাদ, মো. তাজউদ্দীন বিএসসি, মো. মোমতাজ উদ্দিন মাস্টার, ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল, মো. মনির হোসেন মাস্টার, মো. বেলায়েত হোসেন শেখ, মো. মাহবুবুল বাচ্চু, মো. আব্দুল বাতেন, রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির শিমুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন পাঠানসহ স্থানীয় শিক্ষাবিদ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ফ. ম. মমতাজ উদ্দীন রেনু বলেন, “শিক্ষা শুধু বই পড়ার বিষয় নয়, শিক্ষা মানুষকে সৎ, দায়িত্বশীল ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। গ্রামের শিশুরা যদি সঠিক সুযোগ পায়, তারাই একদিন দেশের বড় সম্পদ হবে।
আরও পড়ুন: প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে কনকনে শীতে স্মৃতিসৌধে নেতাকর্মীদের ঢল
আমরা চাই— কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী আর্থিক অভাবে যেন পিছিয়ে না পড়ে। এস এস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ আগামী প্রজন্মকে আরও সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারলেই উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।”
ফাউন্ডেশনের সভাপতি সমাজবন্ধু মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন জানান, ২০০৭ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে। মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করা, উৎসাহিত করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, এবার কাপাসিয়া ও মনোহরদী উপজেলার ১৭১টি বিদ্যালয়ের পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির মোট ৬৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন— এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়াবে এবং ভবিষ্যতে সুশিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তুলতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।





