মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ে অনিয়ম, হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:১৮ অপরাহ্ন, ১২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৪৯ অপরাহ্ন, ১২ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের চুক্তিতে অনিয়ম ও সরকারি অর্থের ক্ষতি সাধনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক ছয় মন্ত্রী ও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম রোববার জানান, ২০১৬ সালে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস)-কে একক উৎসভিত্তিক দরপত্রের মাধ্যমে টোল আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পূর্বের বৈধ টেন্ডার বাতিল করে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া এই চুক্তি সম্পন্ন করা হয়।

আরও পড়ুন: সাহসিকতা ও প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিতে পদক পাচ্ছেন ৬ পুলিশ কর্মকর্তা

দুদকের বরাত দিয়ে বলা হয়, সিএনএস লিমিটেডকে মোট আদায়কৃত টোলের ১৭.৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ হিসেবে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৪৮৯ কোটি টাকার বেশি বিল গ্রহণ করে। তুলনামূলকভাবে, ২০১০-২০১৫ মেয়াদে একই সেতুতে যৌথভাবে এমবিইএল-এটিটি কোম্পানিকে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিতে খরচ হয়েছিল মাত্র ১৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।

২০২২-২৫ মেয়াদে ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড একই ধরনের প্রযুক্তিতে তিন বছরের জন্য ৬৭ কোটি টাকায় চুক্তি পায়, যা পাঁচ বছরে রূপান্তর করলে প্রায় ১১২ কোটি টাকা হয়। সুতরাং সিএনএস লিমিটেডকে একক উৎসভিত্তিক চুক্তি দেয়ায় সরকারের ৩০৯ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আসন্ন নির্বাচনে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

অভিযোগে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, উপ-সচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম, এবং সিএনএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।

দুদক অভিযোগ করেছে, তারা সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের বা অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও আত্মসাৎমূলক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।