সিআরআই-এর অনুদান আত্মসাত
জয়-পুতুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দিল দুদক
জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের অনুদানের নামে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় এবং তার মেয়ে সায়মা হোসেন ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্রধান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদিত মামলায় অভিযুক্ত অন্যরা হলেন— শেখ রেহানার ছেলে ও ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, ট্রাস্টি ও সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ (বিপু), এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাব্বির বিন শামস, সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া এবং সাবেক সদস্য (কর আপীল) রওশন আরা আক্তার।
আরও পড়ুন: নির্বাচন হলে দেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে: সেনাসদর
অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জনকল্যাণের নামে প্রতিষ্ঠিত সিআরআই-এর অনুকূলে ২৩টি কোম্পানি থেকে ৪৫ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে অনুদান হিসেবে সংগ্রহ করেছেন। ২০১৩–১৪ থেকে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি মোট ১০০ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার ৪৮৬ টাকা আয় করেছে।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সিআরআই কর্তৃপক্ষ ২৯ কোটি ৫০ লাখ ৯৮ হাজার ৯৬ টাকা ব্যয়ের পর হিসাব অনুযায়ী স্থিতিতে ১৫ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫২১ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ২৫টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২৪৭ কোটি ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৭০ টাকা জমা এবং ১৯১ কোটি ২১ লাখ ৪৩ হাজার ৩০৯ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৪৩৯ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিআইডির ত্রুটিপূর্ণ তদন্তে শীর্ষ পাচারকারীরা আইনি সুযোগ নিচ্ছে
এছাড়া ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৪ অনুযায়ী আইন ভঙ্গ করে ৩৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৪২ টাকা আয়কর প্রদান না করার মাধ্যমে সরকারের ক্ষতি সাধন এবং অর্থপাচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুদক অভিযোগ করেছে, অভিযুক্তরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে কর সুবিধা গ্রহণ, অনুদান আত্মসাত এবং অর্থপাচারের মাধ্যমে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলাটি দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা অনুযায়ী রুজু হয়েছে।





