বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২.৫৪ শতাংশ

গত আগস্ট মাসে বিশ্ববাজারে প্রধান প্রধান খাদ্যপণ্যের দাম দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এলেও, বাংলাদেশের বাজারে খাদ্যপণ্যে যেন আগুন লেগেছে। বেড়েই চলেছে চাল, ডাল, ডিম, আলু, তেল, মাছ, মাংস ও সবজির দাম। বাজারের প্রভাব পড়েছে চলতি বছরের গত মাসের মূল্যস্ফীতিতে। আগস্টে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২.৫৪ শতাংশ। এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ হয়েছে নিম্ন-আয়ের জনগোষ্ঠীর।
দেশে গত আগস্ট মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১২.৫৪% এ পৌঁছেছে। জুলাইয়ে যা ছিল ৯.৭৬%। আর আগস্টে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৯২%; যা জুলাইয়ে ছিল ৯.৬৯%।
আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট মাসে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২.৭১%। আর শহরে তা ছিল ১২.১১%। আগস্টে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৯৮%। শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৬৩%।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত
বিবিএসের তথ্য অনুসারে, গত আগস্টে দেশে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭.৯৫%; যা জুলাইয়ে ছিল ৯.৪৭%।
বিবিএস’র তথ্যানুযায়ী, আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত ১১ বছর ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২.৭৩% এ উঠেছিল।
এর আগে জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৭৪%। তবে গত মে মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯.৯৪%। এই হার গত প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.০২%, যা বছরওয়ারি হিসাবে এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিবিএসের হিসাবে, একটি পরিবারে যত অর্থ খরচ হয়, তার ৪৮% এর মতো খরচ হয় খাবার কিনতে। গত আগস্ট মাসে মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৫৮, যা মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে কম।
তুলনামূলকভাবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির স্তরে দেশের যাত্রা গত বছরের আগস্টে। ওই মাসে জ্বালানি তেলের দাম হঠাৎ বেশ বাড়ানো হয়। ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৯.৫২%। আর এ বছরের আগস্ট মাসে ৯.৯২% বেশি দামে পণ্য কিনতে হয়েছে। গত বছরের আগস্টের পর আর কখনোই মূল্যস্ফীতি ৮.৫% এর নিচে নামেনি।
উচ্চ খাদ্যমূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন-আয়ের জনগোষ্ঠী তাদের আয়ের একটি বড় অংশ খাবার কিনতে ব্যয় করবে। ফলে অবনতি হবে তাদের জীবনমানের।