১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স জুলাইয়ে

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৫৩ অপরাহ্ন, ০১ অগাস্ট ২০২৪ | আপডেট: ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, ০২ অগাস্ট ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গত জুলাই মাসে বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে মাত্র ১৯১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এর আগে জুন মাসে এই পরিমাণ ছিল ২৫৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ, মাত্র এক মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল, বাধ্যতামূলক ছুটিতে বিএফআইইউ প্রধান

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে গড়ে প্রতি সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। তবে মাসের শেষ সপ্তাহে এই পরিমাণ আরও কমেছে।

জানা গেছে, গত জুনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৫৪ কোটি ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছেন। জুনে দেশে যে পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল, তা ছিল একক মাস হিসেবে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সবশেষ ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলা সহিংসতার কারণে গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যাহত হয়, এই সময়ের মধ্যে মাত্র এক দিন ব্যাংক খোলা ছিল। এরইমধ্যে দেশের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। আবার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় অনলাইন লেনদেনও বন্ধ ছিল। ২৪ জুলাই সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার জন্য ব্যাংক খোলা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে। মার্চে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৯ কোটি ডলার। এর আগে জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ডলার। এপ্রিলে ২০৪ কোটি ডলার এবং মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। এরপর জুন মাসে রেকর্ড ২৫৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা গত ৪৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এর আগে ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যায়। তখন প্রতি মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ গড়ে ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল। বিপুল পরিমাণ প্রবাসী আয় আসার কারণে একপর্যায়ে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পণ্য আমদানির খরচ বেড়ে যায়। দেখা দেয় ডলার-সংকট। এ সংকট এখনো কাটেনি।

প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন: হাসিনার দোসর মাসরুরকে সিটি ব্যাংকে তৃতীয় দফায় এমডি নিয়োগে নানা প্রশ্ন