রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:১৪ অপরাহ্ন, ০৯ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ৮:২৮ পূর্বাহ্ন, ১০ মার্চ ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রফতানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের কল্যাণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। যা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিল ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। রোববার (৯ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাস মার্চের ৬ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৬০ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৬৬০ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমানে রিজার্ভ হলো ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৪০ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন: নতুন বছরের প্রথম দিন পর্দা উঠছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

এর আগে, ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। ওই দিন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার।

তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, সেটি ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠা‌নিকভাবে শুধু আইএমএফকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ হিসাবে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তরুণদের কর্মসংস্থানে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

সে হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা ওপরে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। দেশে সে পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আড়াই বিলিয়ন (২.৫৩ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারি মাসে রফতানি আয় হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন (৩.৯৭ ) ডলার, যা গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।