ডাকসু, জাকসু, রাকসু, চাকসু একাত্ম

‘আওয়ামী লীগ ও দোসরদের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রতিরোধ গড়ুন’: সম্মিলিত ছাত্র সংসদের বিবৃতি

Sanchoy Biswas
শাহরিয়ার ইসলাম
প্রকাশিত: ১১:০৫ অপরাহ্ন, ১১ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:০৫ অপরাহ্ন, ১১ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু, জাকসু, রাকসু ও চাকসু) সম্মিলিতভাবে মঙ্গলবার একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে দাবি করেছে—দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল দেশপ্রেমিক নাগরিক, ছাত্র-জনতা-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণকে ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী কায়দায় কাজ করা সংগঠনগুলোকে প্রতিরোধ তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা-শ্রমিকসহ মুক্তিকামী জনগণ ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দীর্ঘ আঠারো বছরের দুঃসহ ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করেছে; সেই অর্জনকে নিশ্ছিদ্রভাবে রক্ষা করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব।” বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে পতিত স্বৈরাচারী ও তাদের দোসররা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং তারা গুম-খুন, ঘৃণাস্পদ তাণ্ডব ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে দলীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে দুর্বল করে তোলার চেষ্টা করেছে।

আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: সাদিক কায়েম

সম্মিলিত ছাত্র সংসদ তাদের দাবি তালিকায় উল্লেখ করেছে—নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রুখতে সরকারকে জিরো-টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ও নজরদারি কড়া করতে হবে; এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে জুলাই গণহত্যায় জড়িত সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে হবে। বিবৃতিতে “দেশজুড়ে চিরুনি অভিযান” চালানোরও আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে—ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দ্বারা নানা ধরনের নাশকতা, গোপন হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার ষড়যন্ত্রের ছক দেখা গেলেও সন্ত্রাসের মূলোৎপাটনে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা সন্তোষজনক নয়; তাই আরও সক্রিয় ও স্বচ্ছ পদক্ষেপ জরুরি। সম্মিলিত ছাত্র সংসদ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আন্দোলন গড়ে তুলতে আহ্বান করেছে।

আরও পড়ুন: প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের জন্য বড় সুখবর

জনগণের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সম্মিলিত ছাত্র সংসদ সরকারের প্রতি অনতিবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায় এবং নির্দেশ করে যে—দেশের যে প্রান্তেই এই নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা থাকুক, সেখানেই শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে এবং তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হবে।