নারীর প্রতি ডিজিটাল নিপীড়ন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান ডাকসুর সাধারণ সম্পাদকের

Sanchoy Biswas
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ন, ২০ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:৪৭ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ডিজিটাল নিপীড়ন ও কুৎসা রটনার উদ্বেগজনক বৃদ্ধির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-২০২৫ এর সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি নারী নেত্রী ও শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল টার্গেট করে হয়রানির দায়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামী, শিক্ষক সামিনা লুৎফা, ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধি উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়া, ফাতিমা তাসনিম জুমা, সাবিকুননাহার তামান্না, আফসানা আক্তার, উম্মে সালমা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধি তাসনিম জারা, নুসরাত তাবাসসুম, উমামা ফাতেমা, জাহিন বিশ্বাস এষা ও সীমা আক্তারসহ একাধিক নারীকে লক্ষ্য করে সমন্বিতভাবে কুৎসা, অপবাদ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটছে।

আরও পড়ুন: রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকায় দিনব্যাপী অ্যালামনাই মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

এস এম ফরহাদ অভিযোগ করেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি এসব ডিজিটাল হামলায় অংশ নিচ্ছে, যা শুধু ব্যক্তিগত মর্যাদাহানি নয়—রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও নারীবিদ্বেষী মানসিকতারও বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, “নারীদের রাজনৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করতে তাদের নিয়ে কটূক্তি, স্লাটশেমিং, এডিটেড ছবি ছড়ানো এবং সামাজিকভাবে অপদস্ত করার প্রবণতা গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে বিষাক্ত করে তুলছে। এটি কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”

ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক বলেন, ডিজিটাল পরিসরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। তাই নারীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং ও অনলাইন হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি কঠোর নজরদারি বাড়াতে হবে।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি হল পরিদর্শন করেছেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা

পাশাপাশি দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে দলগুলোর অভ্যন্তরীণ নীতিমালা আরও শক্তিশালী করতে হবে। নারীর প্রতি অপমানজনক আচরণে জড়িত কর্মীদের বিরুদ্ধে দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠবে না।

নারীর নিরাপদ রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেন এস এম ফরহাদ।