অ্যাম্বুলেন্স-এক্সরে-ইসিজিসহ আধুনিক সরঞ্জামে সমৃদ্ধ হচ্ছে ঢাবির মেডিকেল সেন্টার

Any Akter
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৫৪ অপরাহ্ন, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৭:২১ অপরাহ্ন, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন ও জরুরি চিকিৎসাসেবা শক্তিশালী করতে প্রায় ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। সোমবার (১ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে তিনি প্রকল্পের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, ফার্মেসী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেলিম রেজা, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাকিলা নার্গিস খান, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহা. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মেডিকেল সেন্টারের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ তানভীর আলী, TIKA-এর বাংলাদেশ কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আলী আরমান, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমসহ ডাকসুর বিভিন্ন সম্পাদক ও হল সংসদের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে মাদকবিরোধী অভিযানে প্রোক্টরিয়াল টিমের সদস্য ছুরিকাঘাতে আহত!

প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে মেডিকেল সেন্টারে আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স, এক্স-রে ও ইসিজি মেশিন, অ্যানালাইজার, মাইক্রোস্কোপ, হাসপাতাল বেড, চেয়ার-ডেস্ক, আলমিরা, এবং ১০টি নতুন এয়ার কন্ডিশনার সরবরাহ করা হয়েছে। নিচতলায় একটি পূর্ণাঙ্গ ইমার্জেন্সি ইউনিট স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানানো হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, বাকি সংস্কার ও আধুনিকায়ন কার্যক্রম দ্রুতই দৃশ্যমান হবে।

এদিন রোটারি ক্লাব অব গুলশান টাইগার্স মেডিকেল সেন্টারকে একটি উচ্চক্ষমতার RO Water Filter হস্তান্তর করে। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান নাজমুল করিম ডা. তানভীর আলীর কাছে যন্ত্রটি তুলে দেন। প্রতি ঘণ্টায় ২০০ জিপিডি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সক্ষমতা সম্পন্ন এ ফিল্টার রোগী ও সেবাগ্রহীতাদের জন্য বড় সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে মাদকবিরোধী অভিযানে প্রোক্টরিয়াল টিমের সদস্য ছুরিকাঘাতে আহত

পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন অ্যাম্বুলেন্স, সরঞ্জাম ও ইমার্জেন্সি ইউনিট যুক্ত হওয়ায় সেবার মান আরও উন্নত হবে।

তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য TIKA এবং রোটারি ক্লাব অব গুলশান টাইগার্সকে ধন্যবাদ জানান।