ভালোবাসা-বসন্তে উৎসবমুখর বইমেলা

ফুল ফুটুক আর না ফুটুক বসন্ত এসে গেছে। গতকাল (১৪ই ফেব্রুয়ারি) ছিল পহেলা ফাল্গুন। অর্থ্যাৎ, বসন্তের প্রথম দিন। দিনটি বিশেষ হয়ে উঠে আরও একটি কারণে। এদিন ছিল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বাঙালী মনে বসন্ত ও ভালোবাসা বরাবরের মতই নিয়ে এসেছে উৎসাহ ও উদ্দীপনা। প্রকৃতি যেন শীতের জীর্নতা কাটিয়ে এদিন ভালোবাসার গান শোনাচ্ছিল। বসন্তকে বরণ করে নিতে ভালোবাসার এইদিনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এবং তরুণ তরুণীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল অমর একুশে বইমেলা।
আরও পড়ুন: ১ ফেব্রুয়ারি থেকে একুশে বই মেলা শুরু
একই দিনে দুটি উপলক্ষ্যকে বরণ করে নিতে উৎসবের কোনো কমতি ছিল না বইমেলা প্রাঙ্গনে। ছুটির দিন না হওয়ায় বিকাল ৩ ঘটিকা থেকে বইমেলার প্রবেশদ্বারসমূহ সকলের জন্য উন্মোচন করা হয়। ভালোবাসার আবহে প্রিয় মানুষের হাত ধরে বইমেলায় বিকাল থেকেই উপচে পড়া ভিড় জমে। এদিন তারুণ্যের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মত। বিশেষ করে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের প্রবেশদ্বারগুলোর দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়।
আরও পড়ুন: মেলায় বই বিক্রি বেড়েছে, ভাঙেনি ২০২০ সালের রেকর্ড
ভালোবাসার শেষ বিকেলে জমে উঠে বইমেলা। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে প্রায় প্রতিটি স্টলে আসে নতুন গল্প, উপন্যাস ও কবিতার বই। তথ্যকেন্দ্রের বরাতে জানা যায়, এদিন বইমেলায় এসেছে মোট ৯১ টি বই। এর ফলে চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে গতকাল পর্যন্ত বইমেলায় মোট বই আসলো ১২২৯ টি। তবে গত দুইদিনের তুলনায় গতকাল বইয়ের পরিমাণ তুলনামূলক কম ছিল বলে জানা যায়।
ঐতিহ্য প্রকাশনীর এক বিক্রেতা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, গত কয়েকদিনে ভালো বিক্রি হয়েছে। তবে আজ ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতারা আসছেন এবং অনেকেই তাদের পছন্দের বই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
বইমেলায় অনেকে পছন্দের বই কিনছেন প্রিয় মানুষকে উপহার দেওয়ার জন্য। বই তুলে দিচ্ছেন প্রিয় মানুষটির হাতে। হয়তোবা সাথে থাকছে ভালোবাসার লাল গোলাপ। শুধু গোলাপই নয় গোলাপের সাথে থাকছে আরো নানা রঙের ফুল। নারীদের মাথায় শোভা পাচ্ছে ফুলের বেনি। যা দেখে মনের অজান্তেই কানে বাজে শাহ আবদুল করিমের গান 'বসন্ত বাতাসে..সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে' কিংবা ‘আজি এ বসন্তে কত ফুল ফোঁটে কত বাঁশি বাজে কত পাখি গায়।
গতকাল কপোত-কপোতীদের পাশাপাশি অনেকে পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে নানান সাজে বইমেলায় ঘুরতে আসেন। অভিভাবকের হাত ধরে শিশুচত্বরের বিভিন্ন স্টলে শিশুদের ঘুরতে দেখা যায়। বাংলা একাডেমীর মূল প্রবেশপথের উল্টোদিকে মন্দির গেট দিয়ে ডুকেই পাওয়া যায় এ চত্বর। বই হাতে নিয়ে শিশুদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।
বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের তুলনায় বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। বিকাল ৪ ঘটিকায় এখানে সূচনা সংগীতের মাধ্যমে একুশে বইমেলার মাসব্যাপী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ১৪ তম দিনের আয়োজন শুরু হয়। এ অনুষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আবদুল মান্নান চৌধুরী এবং আলোচক হিসেবে ছিলেন সুজাতা হক এবং মো