জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী খালিদ হোসেনের দাফন সম্পন্ন

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ন, ১৯ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, ১৯ মার্চ ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, 'চাইম' ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট খালিদ হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাদ জোহর শহরের এস এম মডেল গভর্নমেন্ট হাই স্কুল মাঠে জানাজা শেষে তার লাশ গেটপাড়া কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।

জানাজার আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহসিন উদ্দিন এবং খালিদ হোসেনের বড় ভাই মেজবা উদ্দিন হাসান গুণী শিল্পীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: পারফিউমে ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায় : সাবিলা নূর

এর আগে ভোর ৪টায় শিল্পীর মরদেহ গোপালগঞ্জ শহরের বাসায় পৌঁছায়। তার আগে সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদ হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গ্রিনরোডের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালিদ। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: অস্কারজয়ী অভিনেত্রী ডায়ান কিটন মারা গেছেন

আশির দশকের প্রথম দিকে জনপ্রিয় ব্যান্ড চাইমের মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন খালিদ। ব্যান্ডটির হয়ে বেশ কিছু অ্যালবামে গেয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে নব্বই দশকে সলো ক্যারিয়ারেও সফলতা পান।

‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণে ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’, ‘নাতি খাতি বেলা গেল’, ‘কীর্তনখোলা নদী’, ‘ঘুমাও’– এর মতো বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ।

প্রিন্স মাহমুদ, জুয়েল-বাবুর সুরে তার গানগুলো শ্রোতাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে আগেই। তবে ২০১০ পরবর্তী সময়গুলোতে গানে অনিয়মিত ছিলেন খালিদ। দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান নিউইয়র্কে। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে শোবিজ অঙ্গনে।