সাগর পথে ইউরোপ যাত্রাকালে নিহত ৯, অধিকাংশই বাংলাদেশি

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | আপডেট: ৬:১০ পূর্বাহ্ন, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

লিবিয়া উপকূল থেকে ৫২ জনের অভিবাসন প্রত্যাশী একটি দল সাগর পথে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিসীয়ার উপকূলে গেলে তাদের বহনকারী নৌকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ জন অভিবাসী মারা গেছেন। এ দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী অধিকাংশ বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সময় শ‌নিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত, পদক্ষেপ সীমিত: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন

দূতাবাস জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া উপকূল থেকে ৫২ জনের একদল অভিবাসীর সাগরপথে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিসীয় উপকূলে তাদের বহনকারী নৌকাটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

পরবর্তী সময়ে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী নৌকাটি থেকে ৯ জন অভিবাসীর মৃতদেহ এবং ৪৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক। এ দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: গাজা পুরোপুরি দখলে ইসরায়েলের অভিযান শুরু, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১২৩

দূতাবাস জানায়, উদ্ধার বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে দূতাবাস তিউনিসিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আইওএমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে।

এ ছাড়া স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারদের সঙ্গে সাক্ষাৎপূর্বক তাদের কল্যাণ নিশ্চিতকরণ এবং মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশিদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে দূতাবাসের একটি টিমকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিউনিসিয়া পাঠানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। 

এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী তাদের উপর কঠোর নজরদারি জোরদার করেছে। ফলে বর্তমানে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রা অত্যন্ত বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ। 

ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ইউরোপ যাত্রা না করতে বাংলাদে‌শি অভিবাসীদের সতর্ক করেছে দূতাবাস। দূতাবাস বলছে, সবাইকে দালাল ও পাচারকারীদের প্ররোচনা-প্রতারণায় পড়ে জীবনের ঝুঁকি না নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।