৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল জাপান

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:২৬ অপরাহ্ন, ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ২:০১ পূর্বাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের পর এবার জাপানের ওসুমি উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলে ৬.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে এই কম্পন অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা। সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪ মিনিটে মিয়াজাকি প্রিফেকচারের দক্ষিণ অংশে ৪০ কিলোমিটার গভীরে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যার তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার।

আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় বসছেন ট্রাম্প-পুতিন

জেএমএ আরও জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ৩১ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ১৩১.৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। তবে এ ভূমিকম্পের ফলে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি সংস্থাটি থেকে। ওসুমি উপদ্বীপ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিউশুতে অবস্থিত।

এদিকে, ইন্দোনেশিয়াও আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় উত্তর মালুকু প্রদেশে ৫.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানা যায়।

আরও পড়ুন: ভারত থেকে মার্কিন কোম্পানিগুলোর পোশাক কেনা স্থগিত

ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু এবং ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ভোরে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা বড় ঢেউ (সুনামি) সৃষ্টি হয়নি।

সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, ভূমিকম্পটি ভোর ৪.০৩ মিনিটে অনুভূত হয়, যার কেন্দ্রস্থল ছিল উত্তর হালমাহেরা রিজেন্সির লোলোদা উপ-জেলা থেকে ১২১ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে, সমুদ্রতলের ৪২ কিলোমিটার (২৬ মাইল) গভীরে। মানাডো এবং বিতুং শহরসহ পার্শ্ববর্তী প্রদেশ উত্তর সুলাওয়েসিতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

এর আগে মিয়ানমারে ২৮ মার্চ সাগাইং শহরের উত্তর-পশ্চিমে ৭.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর বেশ কয়েকটি আফটারশক অনুভূত হয়, যার মধ্যে একটি ছিল ৬.৪ মাত্রার। এর ফলে অনেক এলাকার ভবন ধসে পড়ে, রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ে, সেতু ভেঙে পড়ে এবং বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের মাঝে চাপা পড়ে।

একই সময় থাইল্যান্ডে ভূমিকম্প হয়। যাতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। তারা সবাই রাজধানী ব্যাংককের বাসিন্দা। বেশিরভাগই একটি বহুতল ভবন ধসে মারা গেছেন। সেখানে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৮০ জন। ৩০ তলা এই ভবনটি নির্মাণাধীন থাকায় বহু নির্মাণ কর্মী ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকা পড়েছেন। বড় বড় খনন যন্ত্র, কুকুর ও থার্মাল ইমেজিং ড্রোনের মাধ্যমে আটকে পড়াদের সন্ধান ও উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধার কর্মীরা।