দাঁতের ডাক্তারের হাতে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট

টাক মাথায় চুল গজাতে গিয়ে দুই প্রকৌশলীর মৃত্যু

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:১৬ পূর্বাহ্ন, ২৭ মে ২০২৫ | আপডেট: ৪:১৭ পূর্বাহ্ন, ২৭ মে ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সর্বত্র চুলের বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি, আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই ঝুঁকছেন হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারির দিকে। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠান বা সার্জারির মান নিয়ে বাছবিচার না করায় ঘটতে পারে মর্মান্তিক পরিণতি।

সম্প্রতি ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ভয়াবহ সত্য।

আরও পড়ুন: গাজায় অনাহার-অপুষ্টিতে শিশুসহ আরও ১১ জনের মৃত্যু

সংবাদ প্রতিবেদনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চুল প্রতিস্থাপনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই প্রকৌশলী বিনীত কুমার দুবে এবং প্রমোদ কাটিয়ারের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এ ঘটনায় অভিযুক্ত দাঁতের চিকিৎসক অনুষ্কা তিওয়ারি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এই ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারির সুরক্ষা ও বাণিজ্যিকীকরণ নিয়ে।

বিনীতের স্ত্রী জয়া ত্রিপাঠী ৯ মে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশকে তিনি জানান, স্বামীর অস্ত্রোপচার হয় ১৩ মার্চ, অন্য হাসপাতালে স্বামীর মৃত্যু হয় ১৫ মার্চ। আগেই বিনীতের পরিবারের অভিযোগ করেছিল, চিকিৎসক অনুষ্কা জানতেন বিনীতের হাইপারটেনশন ও মধুমেহর মতো অসুখ রয়েছে। তবুও তিনি এই বিষয়টিকে অবহেলা করেন। ফলশ্রুতি, অস্ত্রোপচারের পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। যে চিকিৎসক হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করেছিলেন, তাঁর দাবি, বিনীতের মস্তিষ্কে ফোলাভাব এবং সংক্রমণের চিহ্ন মিলেছিল। জয়া অভিযোগ করেন, শুরুতে পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্বই দেয়নি। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নজরদারিতে অভিযোগ দায়ের হয়।

আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় বসছেন ট্রাম্প-পুতিন

সোমবার (২৬ মে) সরকারি আইনজীবী দিলীপ সিং বলেন, অনুষ্কা তিওয়ারির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। একজন দাঁতের চিকিৎসক হয়ে তিনি চুল প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার করেন। এই বিষয়ে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। কাকাদেব থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুষ্কা তিওয়ারি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আত্মসমর্পণের পর তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছে।”

তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসক অনুষ্কা তিওয়ারির বিরুদ্ধে বহু অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে। যেমন, অস্ত্রোপচারের আগে তিনি কোনো প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাননি। চিকিৎসার পর বিনীতের মাথায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়েছিল বলেও দেখা গেছে। তদন্তকারীরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।