যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতিতে ভারতের কপাল পুড়লো, সুবিধা পেল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৫৬ অপরাহ্ন, ০১ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৭:০৭ পূর্বাহ্ন, ০২ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য নীতিতে বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক হ্রাস এবং ভারতের পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন মোড় এসেছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন। এর ফলে বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগামী ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। অন্যদিকে, ভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা দেশটির রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এই সিদ্ধান্তের পর ভারতের শেয়ার বাজারে তাৎক্ষণিক নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে। আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) ভারতের পোশাক বাজারের শেয়ারে বড় দরপতন হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ ইংরেজি-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেপিআর মিলসের শেয়ার ৫ শতাংশ, ওয়েলসপুন লিভিংয়ের শেয়ার ২ শতাংশ, অলোক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার ০.৮ শতাংশ, পিয়ার্ল গ্লোবালের শেয়ার ৩.৭ শতাংশ, গোকূলদাস এক্সপোর্টের শেয়ার ২.৬ শতাংশ, কিটেক্স গার্মেন্টসের শেয়ার ৩.২১ শতাংশ এবং বর্ধমান টেক্সটাইলের শেয়ার ২.৮ শতাংশ কমেছে।

আরও পড়ুন: গাজায় অনাহার-অপুষ্টিতে শিশুসহ আরও ১১ জনের মৃত্যু

দীর্ঘদিন ধরে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক বাজার দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল, কিন্তু প্রযুক্তি ও শ্রমের সহজলভ্যতার কারণে বাংলাদেশ সবসময়ই এগিয়ে ছিল। গত মাসে যখন বাংলাদেশের ওপর ট্রাম্প ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, তখন ভারতের বাজার সাময়িকভাবে বাংলাদেশের চেয়ে সুবিধা পায় এবং তাদের শেয়ারের দামও বাড়ে। তবে নতুন শুল্ক ঘোষণার পর চিত্রটি সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে।

অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তির ফলে পাকিস্তানও লাভবান হয়েছে। দেশটির পণ্যে ২৯ শতাংশ থেকে শুল্ক কমে ১৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে তেল অনুসন্ধানের জন্যও চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় বসছেন ট্রাম্প-পুতিন

ভারতের জন্য ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের এই সিদ্ধান্ত টেক্সটাইল এবং উচ্চ-মূল্যের ইলেকট্রনিক্সের মতো শ্রম-নিবিড় খাতে রপ্তানিকারকদের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র, যা ভারতের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, সেখানে মূল্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে।