গাজামুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’: ২৪টি নৌযান যাত্রাপথে

Any Akter
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:২৪ অপরাহ্ন, ০২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়া বৈশ্বিক মানবিক সহায়তা বহর **‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’**র নৌযানগুলো এখনও ভূমধ্যসাগরে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। বহরে থাকা ৪০টির মধ্যে অন্তত ২৪টি নৌযান বর্তমানে গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার জানিয়েছে।

এসব নৌযানের মধ্যে মিকেনো নামের একটি জাহাজ ইতিমধ্যেই গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে। তবে এটি ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে কিনা তা নিশ্চিত নয়। বাকি ২৩টি নৌযান বর্তমানে গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে পশ্চিম তীর ও গাজায় পৌঁছেছে কয়েকটি বাস

এর আগে গতকাল বুধবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনী ফ্লোটিলার ১৩টি নৌযান আটক করে এবং সেখান থেকে ৩৭ দেশের দুই শতাধিক অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে জানান, আটক হওয়া নৌযানগুলোতে স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরস্কের ২১ জন, মালয়েশিয়ার ১২ জনসহ মোট ২০১ জনের বেশি কর্মী ছিলেন।

আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন যে তিন জন

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান নিরাপদে থামানো হয়েছে। আরোহীদের বন্দরে নেওয়া হচ্ছে। গ্রেটা থুনবার্গ ও তার সহকর্মীরা নিরাপদ আছেন।

মানবিক সহায়তা বহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে তিউনিসিয়া, ইতালির সিসিলি দ্বীপ এবং গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে আরও কয়েকটি নৌযান যুক্ত হয়।

এ বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষ অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।