গাজামুখী নৌবহর আটক
ইসরায়েলকে ‘জলদস্যু’ আখ্যা দিলেন এরদোয়ান
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌযান আটক করাকে ইসরায়েলের ‘জলদস্যুতার কাজ’ বলে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। বৃহস্পতিবার আঙ্কারায় নিজ দলের (একে পার্টি) সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: হংকংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ১২৮
এরদোয়ান বলেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলের এই হামলা প্রমাণ করে গাজায় গণহত্যার দায় ঢাকতে তারা উন্মত্ত হয়ে পড়েছে। নেতানিয়াহুর সরকার শান্তির ক্ষুদ্রতম সম্ভাবনাও সহ্য করতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আবারও বিশ্বকে দেখিয়ে দিল, গাজায় কী ভয়াবহ নৃশংসতা চলছে এবং ইসরায়েলের আসল চেহারা কেমন। আমরা ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের কখনো একা ছেড়ে দেবো না। যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তুরস্ক সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে নতুন হামলা চালাল ইসরাইল
প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এতে বিভিন্ন দেশের শত শত মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক যোগ দেন। সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও এ নৌবহরে ছিলেন।
নৌবহরের প্রধান লক্ষ্য ছিল—ইসরায়েলের আরোপিত নৌ অবরোধ ভেঙে গাজার ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে খাদ্য ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।
বুধবার থেকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার জাহাজ আটক শুরু করে। এখন পর্যন্ত ৪৫টির মধ্যে অধিকাংশ নৌযানই আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজগুলো সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেনি। যাত্রীদের নিরাপদে ইসরায়েলে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং শিগগিরই তাদের ইউরোপে পাঠানো হবে।
ওই পোস্টে গ্রেটা থুনবার্গসহ আটককৃত কর্মীদের ছবি প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। সূত্র: আল জাজিরা





