‘আমরা কসাইখানায় ছিলাম, কারাগারে নয়’

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:০৮ অপরাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১:০৮ অপরাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া এক ফিলিস্তিনি বন্দি বলেছেন, তিনি ও তার সহবন্দিরা কোনো কারাগারে ছিলেন না, বরং এক ‘কসাইখানায়’।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) মুক্তি পাওয়া আব্দাল্লাহ আবু রাফে বলেন, “আমরা কসাইখানায় ছিলাম, কোনো কারাগারে না। দুর্ভাগ্যবশত আমরা ‘ওফার কারাগার’ নামে এক কসাইখানায় ছিলাম। অনেক তরুণ এখনো সেখানে বন্দি।”

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজায় শান্তি আসবে না: রাশিয়া

তিনি আরও বলেন, “ইসরাইলি কারাগারগুলোর অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। সেখানে কোনো গদি নেই, যা ছিল তাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। খাবারের অবস্থাও শোচনীয়। সব কিছুই সেখানে খুব কঠিন।”

মুক্তির অনুভূতি নিয়ে রাফে বলেন, “অসাধারণ এক অনুভূতি।”

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির আওতায় ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল

মুক্তিপ্রাপ্ত আরেক ফিলিস্তিনি বন্দি ইয়াসিন আবু আমরাও ইসরাইলি কারাগারের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, “খাবার, নির্যাতন, মারধর—সবকিছুই ভয়াবহ ছিল। কোনো খাবার বা পানি ছিল না। আমি টানা চার দিন কিছু খাইনি। এখানে এসে আমাকে দুটি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, আমি সেগুলো খেয়েছি।”

এছাড়া মুক্তি পাওয়া আরেক বন্দি সাঈদ শুবাইর জানান, তিনি তার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না। তার ভাষায়, “এই অনুভূতি বর্ণনাতীত। কারাবন্দি না হয়ে সূর্য দেখা—এ এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। আমার হাত এখন শৃঙ্খলমুক্ত। স্বাধীনতার কোনো মূল্য নেই—এটি অমূল্য।”

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার ইসরাইল প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকে আজীবন বা দীর্ঘ কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। এছাড়া গাজা থেকে যুদ্ধ চলাকালে আটক করা আরও প্রায় ১,৭১৮ জনকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ এদের ‘জোরপূর্বক গুমকৃত’ ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করেছিল। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা