অফিসে টক্সিক সহকর্মী থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার ৫ উপায়
অফিসের পরিবেশ সুন্দর রাখতে শুধু পরিপাটি সাজসজ্জা বা নিয়মকানুন যথেষ্ট নয়—প্রয়োজন ইতিবাচক মানসিকতার সহকর্মীও। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কর্মস্থলে সবাই আপনার মনের মতো হবে না। কেউ কেউ আচরণে বা কথাবার্তায় এমন হতে পারেন, যাদের কারণে পুরো কর্মপরিবেশ অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। ইংরেজিতে এদের বলা হয় “টক্সিক কলিগ” (Toxic Colleague)—যারা অজান্তেই চারপাশে নেতিবাচকতা ছড়িয়ে দেয়। তবে চিন্তার কিছু নেই—কিছু কৌশল জানলে আপনি নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন এবং অফিসের ইতিবাচক পরিবেশ বজায় রাখতে পারবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো—
১. সীমা নির্ধারণ করুন
আরও পড়ুন: কোন ডিমটি বেশি উপকারী? জানুন বিশেষজ্ঞদের মতামত
টক্সিক সহকর্মীর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখাই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। প্রয়োজনে বিনয়ের সঙ্গে কিন্তু দৃঢ়ভাবে “না” বলুন। তাদের আপনার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করতে দেবেন না। কথাবার্তায় সর্বদা পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন, এবং নিজের ব্যক্তিগত তথ্য বা অনুভূতি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।
২. তাদের ড্রামায় জড়াবেন না
আরও পড়ুন: ত্বকের উজ্জ্বলতার গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে যে সকল খাবারে
টক্সিক মানুষ সাধারণত অন্যদের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। আপনি যত বেশি মনোযোগ দেবেন, তারা ততই প্রভাব বিস্তার করবে। অতএব, শান্ত ও স্থিরভাবে প্রতিক্রিয়া জানান। কোনো গসিপ, অফিস রাজনীতি বা অপ্রয়োজনীয় তর্কে জড়াবেন না। আপনার নীরবতা ও সংযমই তাদের নিয়ন্ত্রণ ভেঙে দেবে।
৩. সবকিছু নথিভুক্ত রাখুন
যদি টক্সিক সহকর্মীর আচরণ আপনার কাজ বা সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত করতে শুরু করে, তাহলে প্রত্যেকটি ঘটনা, ইমেল বা কথোপকথন লিখিতভাবে সংরক্ষণ করুন। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে বিষয়টি HR বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হলে, এই নথিপত্রই হবে আপনার সবচেয়ে শক্ত প্রমাণ।
৪. সহায়তা নিন
কাজের বাইরে বিশ্বস্ত বন্ধু, সহকর্মী বা পরামর্শদাতার সঙ্গে কথা বলুন। মানসিক সমর্থন টক্সিক আচরণের প্রভাব কমায় এবং আপনাকে ইতিবাচক থাকতে সাহায্য করে। মনে রাখবেন—একাকীত্ব টক্সিক পরিবেশের সবচেয়ে বড় সহায়ক।
৫. প্রয়োজনে HR বা কর্তৃপক্ষকে জানান
যদি কোনো সহকর্মীর আচরণ পেশাদার সীমা ছাড়িয়ে যায় বা কর্মস্থলের নীতিবিরোধী হয়, তবে ঘটনাগুলো তথ্যসহ HR বা সিনিয়র কর্মকর্তাকে জানান। যত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তত দ্রুত আপনি ও আপনার সহকর্মীরা নিরাপদ ও পেশাদার পরিবেশ ফিরে পাবেন।
অফিসে টক্সিক সহকর্মী থাকা মানেই কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাওয়া নয়। সচেতনতা, সীমা বজায় রাখা এবং সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নেওয়াই হতে পারে আপনার সবচেয়ে বড় আত্মরক্ষার অস্ত্র। নিজের মানসিক শান্তি রক্ষায় উদ্যোগী হন কারণ একটি সুস্থ কর্মপরিবেশই সফল ক্যারিয়ারের ভিত্তি।





