গুমের অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব ও এখতিয়ার বাংলাদেশেরই: জাতিসংঘ

Shakil
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:১৪ অপরাহ্ন, ২২ অগাস্ট ২০২২ | আপডেট: ৭:১৪ পূর্বাহ্ন, ২২ অগাস্ট ২০২২

বাংলাদেশে গুমের অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব ও এখতিয়ার এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষেরই। গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক এ কথা বলেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেত চার দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে গত বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো অভিযোগগুলোর স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং নিরাপত্তা খাতের সংস্কার হওয়া দরকার। তাঁর ওই বক্তব্যের সূত্র ধরে একজন সাংবাদিক সুইডেনভিত্তিক নিউজ পোর্টাল নেত্রনিউজের ‘আয়নাঘর’ শীর্ষক প্রতিবেদনের বিষয়ে বর্ণনা দিচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন: এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মানুষের অধিকার কখনো ক্ষুণ্ণ হবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক ওই সাংবাদিককে থামিয়ে জানতে চান তাঁর প্রশ্নটা কী?

এ পর্যায়ে ওই সাংবাদিক বলেন, ‘আমি ভাবছি, তদন্ত কে করবে? জাতিসংঘের মহাসচিবের মাধ্যমে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা কি সম্ভব? বিরোধী দল ও মানবাধিকারগোষ্ঠী তা চাইছে। ’ জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র বলেন, ‘এ রকম কিছু হবে কি না সে বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। এই পর্যায়ে, কর্তৃপক্ষের (বাংলাদেশের) জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অভিযোগগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা। এর বাইরে আমি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেতের সফর শেষে গণমাধ্যমকে যা বলেছিলেন সে দিকেই আমি দেখতে বলতে পারি।’

আরও পড়ুন: মেধা পাচার রোধে 'ট্যালেন্ট হান্ট পুল' গঠন এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও মানবাধিকারবিষয়ক অভিযোগ আছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার, স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার বা মানবাধিকার কাঠামো এসব অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের কাছে জানতে চেয়েছে এবং অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বাংলাদেশও এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে তার আইনি কাঠামোর মাধ্যমে তদন্ত করে থাকে।