বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১১:২২ পূর্বাহ্ন, ০৮ জানুয়ারী ২০২৩ | আপডেট: ৭:৩১ পূর্বাহ্ন, ০৮ জানুয়ারী ২০২৩
(no caption)
(no caption)

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ঢাকা ও ওয়াশিংটনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়াতে মার্কিন প্রশাসন কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের পরিচয়পত্র গ্রহণকালে লিখিত বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন। রোববার (৮ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস।

আরও পড়ুন: কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা করল সরকার

দূতাবাস জানায়, সম্প্রতি হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র পেশ করার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রদূত ইমরান।

জো বাইডেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। বাইডেন বলেন, মার্কিন প্রশাসন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে আপনার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। আমরা আগামীর সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব। ওয়াশিংটনে আপনাকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি আনন্দিত।

আরও পড়ুন: সাহসিকতা ও প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিতে পদক পাচ্ছেন ৬ পুলিশ কর্মকর্তা

বাইডেন বলেন, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে স্থায়ী অংশীদারিত্বের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করতে চাই। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে কাজ করবে মার্কিন প্রশাসন।

তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি একটি চমৎকার গল্প। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবিক, উদ্বাস্তু, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা এবং সন্ত্রাস দমন, সামুদ্রিক ও অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

বাইডেন বলেন, বাংলাদেশ তার বৃহত্তর কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তিতে প্রসারিত করেছে। যা বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে একটি প্রধান অংশগ্রহণকারী হতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, আমাদের দেশগুলো গণতান্ত্রিক শাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, শরণার্থী ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবে। আমরা বাংলাদেশের সাফল্যে বিনিয়োগ করছি এবং সব বাংলাদেশিকে স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণ ও তাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষমতাকে সমর্থন করি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, কোভিড মহামারির গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। আমরা সামনের মাস ও বছরগুলোতে আমাদের ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব প্রসারিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সহায়তা ও তাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও জানান বাইডেন।