আতশবাজি নিয়ন্ত্রণে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে রিট
নানা আইনি বিধিনিষেধের মধ্যেও দেশে বিশেষ বিশেষ দিনে ( যেমন হেপি নিউ ইয়ার, সাকরাইন) আতশবাজির প্রচলন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবেশ ও প্রাণী সুরক্ষায় দেশব্যাপী অনিয়ন্ত্রিত আতশবাজি নিয়ন্ত্রণে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও পরিবেশবাদী সংগঠন ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনসহ আরও তিনটি সংগঠনক এ রিট আবেদন দায়ের করেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ রফিকুল ইসলাম জনস্বার্থে এ রিটটি আদালতে শুনানির জন্য দাখিল করেন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ রোবাইয়েত ইসলাম।
আরও পড়ুন: গণভোট না হলে নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে: হামিদুর রহমান আযাদ
হাইকোর্টের জাস্টিস মোস্তাফা জামান ইসলাম এবং জাস্টিস মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রবিবার রিটটি শুনানির কথা রয়েছে।
রিট দায়েরকারী অন্য তিনটি সংগঠন হলো- পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং মানবাধিকার সংগঠন গণ অধিকার ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: দুই-তিন দিনের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিষ্কার জানা যাবে: ড. আসিফ নজরুল
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে নানা আইনি বিধিনিষেধের মধ্যেও বিশেষ দিনে আতশবাজির প্রচলন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ফানুস উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া বিস্ফোরক আইন-১৮৮৪ অনুসারে রঙিন আতশবাজি রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ক্যাপসের জরিপ অনুযায়ী ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে আতশবাজির জন্য শব্দদূষণ ১১৩% বেশি ছিল, বায়ুমান ছিল ৫০০ একিউআই পর্যন্ত, যা মানুষের সহ্যক্ষমতার তুলনায় ৯ গুণ বেশি। একই রাতে সহস্রাধিক পাখি মারা গেছে, সারাদেশে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে ২০০টি।
এ বিষয়ে ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, “১০২ ডেসিবল মাত্রার শব্দদূষণে ১০ মিনিট কোনো শিশু থাকলে সে স্থায়ীভাবে বধির হয়ে যেতে পারে। অনলাইন ব্যাপকহারে যেসব আতশবাজি কেনাবেচা হচ্ছে সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে সালফার, পটাশিয়াম নাইট্রেট, লেড ও ক্যাডমিয়ামের মতো ভারি ধাতুর পিএম ১০ ও ২.৫ কণা থাকে যা ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা রাখে। রাতভর আতশবাজিতে অগণিত পশুপাখি মারা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক শিশুমৃত্যুরও ঘটনা ঘটেছে।”
এ অবস্থায় আতশবাজির ভয়াবহতা নিরসনে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ একটি সমাধান দেবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।





