‘মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,আওয়ামী লীগের মতের সঙ্গে মিল না থাকলেও মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে । তিনি বলেন, জাতির পিতার ডাকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। পরিবার, পরিজন, বাবা-মা সবার মায়া ত্যাগ করে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় নিশ্চিত করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪-২৫’ এর নির্বাচিত ফেলোদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।অনুষ্ঠানে নির্বাচিত ৪৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা সবচেয়ে বেশি মেধাবী। তাদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সেটাই আমাদের কর্তব্য। সেই সুযোগটি আমরা করে দিতে চাই। সেই কারণে ফেলোশিপটা চালু করেছি।
২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। আমাদেরকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির তদন্তে সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের ব্যাংক হিসাব তলব
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে যার যা কিছু ছিল তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। তাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। আমি জানি হয়ত অনেকে আমাদের দলের সমর্থনে নাই। অন্য জায়গা চলে গেছে বা অনেকের অনেক কিছু থাকতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, সবসময় তারা অবহেলিত ছিল। আমি সরকারে আসার পর থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছি। তারা গর্ব করে যেন বলতে পারে আমি মুক্তিযোদ্ধা। আমার মতামতের সঙ্গে নাও থাকতে পারে, আমার দলে নাও থাকতে পারে। তারপরও সে মুক্তিযোদ্ধা। আমার কাছে সবাই সম্মানিত। সেই সম্মানটা যুগ যুগ ধরে এ দেশের মানুষ দেবে, এটাই আমরা চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও একটা কথা মনে রাখতে হবে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমার দলের সঙ্গে কারও মতের মিল না-ই থাকতে পারে, সেটা আমার কাছে বিবেচ্য না। আমার কাছে বিবেচ্য, মুক্তিযোদ্ধারা তাদের রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাই তাদের কোনোভাবেই অসম্মান করা যাবে না। আমাদের এখানে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী আছে; তারাও যেন সবদিক থেকে সুযোগ-সুবিধা পায়। তারাও যেন এগিয়ে যায়। শিক্ষায় তারা যেন পিছিয়ে না পড়ে। সেদিকে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা মেধাবী, তাদের দরকার শুধু সুযোগ। তাদের মেধা বিকাশের সেই সুযোগটাই করে দিতে চাই আমরা। আর সে কারণেই এই প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ডটা আমরা চালু করেছি। অর্জিত জ্ঞান দেশের কাজে লাগাবেন। পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। জনগণ যেন সেবা পায় সেটা নিশ্চিত করবেন। ফিরে এসে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেবেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।