কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক আজ

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, ৩০ জুলাই ২০২৪ | আপডেট: ৭:০৬ পূর্বাহ্ন, ৩০ জুলাই ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে আজ মঙ্গলবার(৩০ জুলাই) দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে জনগণকে কালো ব্যাজ ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব উপাসনালয়ে নিহতদের জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। 

সোমবার (২৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আরও পড়ুন: সিএমপির সাংবাদিক নির্যাতন: ঘুসি আকবরের পর ডিসি আমিরুল

তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, সেখানে (মন্ত্রিসভা বৈঠক) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফ থেকে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছিল। অনান্য মন্ত্রীরাও তাদের তরফ থেকে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছেন। সেখানে সেসব তথ্য পর্যালোচনা করে মন্ত্রিসভা দুটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। একটি হলো এই আন্দোলনের ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের জন্য একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ। সেই প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে নেওয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় যেটি করা হয়েছে, সেটি আগামীকাল দেশব্যাপী শোক পালন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘শোক পালনের অংশ হিসেবে কালো ব্যাচ ধারণ করা হবে। মসজিদে দোয়া, মন্দির-গির্জা-প্যাগোড়ায় পার্থনা করা হবে।’

আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

এদিকে, কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাত ও সহিংসতায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। রোববার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হয় ১ জুলাই। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সারাদেশে। এর পরদিন থেকে এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে গণমাধ্যমে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করলেও সরকারের তরফ থেকে এই প্রথম মৃতের সংখ্যা জানানো হলো। অবশ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষ মারা গেছেন।