আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ডিবি
ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কের বিষয়টি এখনো অনিশ্চয়তায়

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা হেফাজতে থাকা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবি আন্দোলনের প্ল্যাটফরম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেবেনা ডিবি। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন যেহেতু বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে শুনানী চলছে তাই আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে ডিবি। এছাড়াও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র থেকে এমনটাই আভাস পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে একজন বিচারপতি অসুস্থতা জনিত ছুটিতে থাকায় আদালতে শুনানী না হওয়ায় ৬ সমম্বয়কের মুক্তির বিষয়টি এখন অনিশ্চয়তায় ঝুলে গেছে। ছয় ছাত্রের মুক্তি বা তাদের বিষয়ে ডিবির আইিনী প্রক্রিয়ার বিষয়টি এখন অনিশ্চয়তায়। আইনজীবীরা জানানা কাল বৃহস্পতিবার হয়তো বিচারপতি যোগদান করলে নিস্পত্তি হতে পারে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল ও বাসা বাড়ী থেকে ডিবি পুলিশ ৬ ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ককে ধরে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। ডিবি কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ ও নিরাপত্তা হেফাজনের জন্যই নিয়ে এসেছেন বলে জানান্। ডিবি কার্যালয়ে তাদেও নিরাপত্তা হেফাজনের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরী হলে নাগরিক ও শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধীরা এর প্রতিবাদ করেন। ডিবি কার্যালয় থেকেই এক ভিডিও বার্তাায় আন্দোলনের কর্মসুচি প্রত্যাহার করা হয়। এতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ৬ছাত্রের স্বজনদেরও ডিবিতে নিয়ে দেখা করানো হয়। এনিয়ে একজন আইনজীবী উচ্চ আদাদলতে রিট করলে আদালত দুইদিন শুনানী করেন। এখন আদেশের অপেক্ষায়। ডিবি কর্মকর্তারা বলেন ছাত্র সমম্বয়কদেও নিরাপত্তাহীনতার জন্যই ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছিল। কিন্ত বিষয়টি উচ্চ আদালতের মামলায় পড়ায় আমরা নিজ থেকে কোন সিদ্ধান্ত নেবনা। জানা যায় ডিবি কার্যালয়ে ৬ ছাত্র নেতাকে উপ পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনরের এসি কক্ষেই রাখা হচ্ছে। খাওয়ানো হচ্ছে তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী খাবার। ডিবি কেন্টিন ও বাইরের হোটেল থেকে খাবার আনা হচ্ছে। দুইজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা থাকছেন নুসরাতের সাথে ও অন্য দুটি কক্ষে থাকছেন ৫জন। তাদের কক্ষে থাকছেন দুই পুলিশ সদস্য। তবে দেয়া হচ্ছেনা টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন। বুধবার সকালে হাইকোর্ট বেঞ্চে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া কথা থাকায় ডিবি কর্মকর্তারা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া অথবা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিবি থেকে অন্য ব্যবস্থার জন্য তারা প্রস্তুতি রাখছিলেন। মঙ্গলবার রাতে ডিবি প্রধানসহ শীর্ষ কর্তারা তাদের সাথে দেখা করে খোজ ও নিয়েছিলেন । অবশ্য এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে তারা সবাই নিরাপত্তা হেফাজতে সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন । আদালতের সিদ্ধান্তর অপেক্ষায় আছে ডিবি। তারা হলেন- মো. নাহিদ ইসলাম, মো. সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, মো. আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম। তাদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে জোরালো দাবি ওঠে।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী