প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রমাণিত হলে পরীক্ষা বাতিল: পিএসসি

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২১ অপরাহ্ন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ৭:২৬ পূর্বাহ্ন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের তদন্ত করছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিবেদন চূড়ান্ত হতে পারে। সেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেই পরীক্ষা বাতিল করবে পিএসসি। এ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে অনিয়ম প্রমাণিত হলে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান। 

পিএসসির উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর

ওই কর্মকর্তা বলেন, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পিএসসি। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সরকারি কর্ম কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল আলীম খানকে। কমিটির সদস্য পিএসসির পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানা। তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে পিএসসির পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হককে। 

কমিটির কাজের অগ্রগতি জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সবকিছু যৌক্তিক ও ন্যায়সংগতভাবে তদন্ত করছি। প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রমাণিত হলে পরীক্ষা বাতিল করার সুপারিশ করা হবে। এই প্রতিবেদন সরকারকে পাঠানো হবে। সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।’

আরও পড়ুন: দুর্নীতির তদন্তে সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের ব্যাংক হিসাব তলব

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘কাজ চলছে। আশা করছি, শিগগিরই প্রতিবেদন তৈরি হবে।’

বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের দুজন উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। 

‘বিসিএস প্রিলি-লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’ শিরোনামে দেশের অন্যতম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোর সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। এ সংবাদে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) ক্যাডার, নন-ক্যাডারসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করা হয়েছে। 

টিভি চ্যানেলটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছে একটি চক্র। 

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিসিএসসহ ৩০টি ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত পিএসসির কয়েকজন কর্মকর্তা। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ কয়েকটি অভিযোগে পিএসসির পাঁচ কর্মকর্তা এখন কারাগারে।