মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ঢাকার কড়া প্রতিবাদ

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৫২ অপরাহ্ন, ১১ অক্টোবর ২০২৪ | আপডেট: ১:১১ অপরাহ্ন, ১১ অক্টোবর ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে ওসমান (৬০) নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকার। ঢাকায় মিয়ানমারের দূতাবাসে পাঠানো একটি কূটনৈতিক নোটে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৮ উপদেষ্টার দুর্নীতির কথিত অভিযোগ দেয়ার পর সাত্তারের ফোন বন্ধ, বিএনপির অস্বীকার

এতে বলা হয়, সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কাছে মাছ ধরার সময় ৫৮ জন জেলেসহ ৬টি মাছ ধরার ট্রলার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আটক করে। পরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর গতকাল দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারকে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানো এবং আর কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকার জন্য স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে সুমাইয়া জাফরিনের দায় স্বীকার করে ভয়ংকর তথ্য

এ ছাড়া মর্মান্তিক ঘটনায় ঢাকায় মিয়ানমারের দূতাবাসে পাঠানো কূটনৈতিক নোটে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগর মোহনায় বাংলাদেশের মাছ ধরার ট্রলারে মিয়ানমার উপকূল থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে মো. ওসমান নামে এক বাংলাদেশি জেলে নিহত হন। আহত হন তিন জেলে। এ সময় ৬০ মাঝি-মাল্লাসহ ৪টি ট্রলার অপহরণ করে মিয়ানমারে নিয়ে যায় দেশটির নৌবাহিনী। পরে ট্রলারসহ অন্য মাঝিদের ছেড়ে দেয় মিয়ানমার।

মো. ওসমান শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকাধীন ট্রলারের জেলে।