বিডিআর জওয়ানদের মুক্তির দাবিতে ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে বিক্ষোভকারীরা

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ন, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ৫:২৪ পূর্বাহ্ন, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন সাবেক বিডিআর সদস্য এবং নিহত বিডিআর সদস্যদের পরিবারের স্বজনেরা। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে এসে শাহবাগে অবস্থান নেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ মুনসুর বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের পর যারা চাকরিচ্যুত হয়েছে ও চাকরিচ্যুত সদস্যদের পরিবারের লোকজন দ্বিতীয় দিনের মতো এ আন্দোলন করছেন। দুপুর থেকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছে। এখানে সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িতদের প্রায় সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এর আগে, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের নিরপরাধ জওয়ানদের মুক্তির দাবিতে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল বুধবার সকাল থেকেই নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এসে জড়ো হন। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার পর তারা শহীদ মিনার থেকে যমুনার উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করেন। শাহবাগ পর্যন্ত এলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। বাধা পেয়ে তারা শাহবাগ থানা ও জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেয়।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলনে চাকরিচ্যুত বিডিআরের সদস্যরা বলেন, পিলখানা হত্যা মামলার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রহসন চলছে। সব মিথ্যা মামলা বাতিল ও কারাবন্দী সদস্যদের মুক্তির দাবি জানান তারা। কেরানীগঞ্জে আদালত বসার কথা থাকলেও, তা না হওয়ায় একে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন তারা।

আরও পড়ুন: ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে সংগ্রহ করা হচ্ছে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত উল্লেখ করে অবরোধকারীরা বলেন, দেশবিরোধী চক্রান্তের শিকার হয়েছেন বিডিআর সদস্যরা। কারাবন্দীদের মুক্তিসহ ৩ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের জেলবন্দিদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা বাতিল, চাকরিচ্যুতদের চাকরিতে পুনঃবহাল করতে হবে। বিগত সরকারের নীল নকশায় পরিকল্পিতভাবে বিডিআর সদস্যদের ফাঁসানো হয়েছে বলে তাদের দাবি। একইসঙ্গে পিলখানা হত্যা মামলায় পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা। এ ছাড়াও ক্ষতিপূরণ দাবি এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি সেনা হত্যা দিবস হিসেবে পালনের দাবিও জানান তারা।