চাঁদাবাজদের গ্রেফতার দাবি
বনানীর ওসি ও ডিসিকে প্রত্যাহারের জন্য বিক্ষুব্ধ জনতার বিক্ষোভ ও থানা ঘেরাও
বনানীর টি এন্ড টি বস্তি, খেলার মাঠ ও বেলতলা এলাকায় চিহ্নিত চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার ও সন্ত্রাসীদের ধরায় বনানী থানার ওসি ও গুলশান বিভাগের ডিসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েকশ বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করে বনানী থানা ঘেরাও করে রেখেছে।
থানা ঘেরাও করে রাখা বিক্ষুব্ধ জনতার কয়েকজন জানান ৫ই আগস্টের পর এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাদ সন্ত্রাসীরা দলবদল করে নতুন করে চাঁদাবাজি শুরু করে। এ বিষয়ে বনানী থানা পুলিশ ও গুলশানের ডিসিকে অবহিত করলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। চাঁদার দাবিতে বনানীতে প্রতিদিনই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। চাঁদাবাজরা রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার দেখিয়ে দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিট পুলিশ ও বনানী পুলিশকে বারবার অবহিত করলেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় কয়েকশ নারী পুরুষ সন্ধ্যার পর বিক্ষোভ করতে করতে বনানী থানার সামনে অবস্থান নেয়। বিক্ষুব্ধ কয়েকজন তরুণ থানা ঘেরাও করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করে। এ সময় তারা ও থেকে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও তাদের নিরাপত্তা দাবি করলে ওসি তাদেরকে সুনির্দিষ্ট মামলা দায়ের করতে পরামর্শ দেন। জনতা এ বিষয়ে মৌখিকভাবে স্থানীয় সন্ত্রাসী সোহেল চানমিয়াসহ কিছু লোকের নাম দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। ওসি তাদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও তারা তা নেয়নি। এদিকে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল সরওয়ার জানান এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বস্তির বিদ্যুৎ বিল চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুটি গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ ঘটে। দুইটি গ্রুপে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। থানায় আসা জনতাকে আমরা মামলা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু তারা মামলা না দিয়ে মৌখিক কথা বলছে। থানার সামনে বিক্ষুব্ধ জনতা ২ ঘন্টা ধরে অবস্থান করলেও ঊর্ধ্বতন কোন কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে আলোচনা করতে আসেন। বিক্ষুব্ধ জনতা নেতৃত্ব দেওয়া নাসির উদ্দিন জানান দীর্ঘদিন ধরে ই তারা সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। অত্যাচারিত হয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় আজ তারা ঘেরাও করতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে প্রধান উপদেষ্টার দোয়া কামনা





