আবদুল হামিদের দেশত্যাগ

কিশোরগঞ্জের এসপি, ওসি ইমিগ্রেশন প্রত্যাহার, বরখাস্ত ২, তদন্ত কমিটি গঠন

Sanchoy Biswas
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ন, ০৮ মে ২০২৫ | আপডেট: ৩:১৭ অপরাহ্ন, ১৬ মে ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, তার ছেলে ও শ্যালকসহ গভীর রাতে বিদেশ চলে যাওয়ার ঘটনায় ছাত্র-জনতার মাঝে উদ্বেগ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সরকারের ভেতরে তোলপাড় তৈরি হয়েছে। প্রতিবাদের মুখে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার শ্যালক ডাক্তার নওশাদ খানের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের থানায় হত্যা মামলা থাকার পরেও কিভাবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে গেল তা নিয়ে ছাত্র-জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। 

ছাত্র সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও আব্দুল হান্নান মাসুদ পৃথক বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে এর বিচার দাবি করেন। তোপের মুখে পড়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সাংবাদিকদের বলেন আবদুল হামিদ পালিয়ে যাওয়ার অপরাধীদের শাস্তি দিতে না পারলে পদত্যাগ করব।  এর কিছুক্ষণ পরই বরখাস্ত করা হয় দায়িত্ব পালন করা ইমিগ্রেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহসিনা আরিফ, কিশোরগঞ্জ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আজহারুল ইসলাম, এসবি কর্মকর্তা এটিএসআই মো. সোলায়মানকে।

আরও পড়ুন: ৮ উপদেষ্টার বিরুদ্ধে সাত্তারের দুর্নীতির অভিযোগ দায়িত্বজ্ঞানহীন: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের ৯ মাস পর দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি গত বুধবার রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড গেছেন বলে জানা গেছে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড গেছেন। তার দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। সেকারণে তাকে দেশ ছাড়তে বাধা দেওয়া হয়নি। আবদুল হামিদের সঙ্গে ছিলেন তার এক ছেলে রিয়াদ আহমেদ এবং শ্যালক ডা. নওশাদ খান। 

সাবেক এই রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি চিকিৎসকের পরামর্শেই চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেছেন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন আবদুল হামিদ। জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর আবদুল হামিদ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল। 

আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পান ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হলে বঙ্গভবন ছেড়ে তিনি ঢাকায় নিকুঞ্জের বাসায় বসবাস করছিলেন। আবদুল হামিদের পরে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হন মো. সাহাবুদ্দিন। ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয় কিশোগঞ্জে। গত ১৪ জানুয়ারি এই মামলাটি করা হয়েছে।