অধ্যাদেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে সংযুক্ত পরিষদ, যার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে)বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিষদের কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠকে পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
সভায় নেতারা অভিযোগ করে বলেন, অধ্যাদেশটি পেশ করার আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। ফলে এই প্রক্রিয়াকে তারা “একতরফা” এবং “অস্বচ্ছ” হিসেবে উল্লেখ করেন।
পরিষদের মহাসচিব মো. মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “গোপনে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন প্রণয়নের চেষ্টা সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। এই আইন বাস্তবায়িত হলে সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।”
আরও পড়ুন: আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি
নেতারা আরও বলেন, প্রয়োজনে সব ভেদাভেদ ভুলে কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে যাবে।
“সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”–কে তারা “কালো আইন” আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি ‘কর্মচারীদের উপর মানসিক চাপ প্রয়োগের একটি মাধ্যম’ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
পরিষদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়, অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত করার আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তা না হলে সচিবালয়ে “অস্থিতিশীল পরিবেশ” সৃষ্টি হতে পারে বলেও তারা সতর্ক করেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি কাজী জহিরুল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন, মো. আশিকুল হক সহিদ, যুগ্ম-মহাসচিব মো. ফেরদৌস আলম খন্দকার, মো. মিলন মোল্লা, মো. ওবায়দুল ইসলাম রবি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল হাসনাত, প্রচার সম্পাদক মো. মোফাছ্ছেল হোসেন, নির্বাহী সদস্য নাজমুল হক ও আসাদুর রহমান আসাদসহ পরিষদের নেতারা ।
নেতারা বলেন, “এই অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের চেষ্টা কোনো বিশেষ মহলের ব্যক্তিস্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে, যা সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।”