সীমান্ত রক্ষায় নবীন সৈনিকরা প্রয়োজনে জীবন দেবে: বিজিবি ডিজি

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, ১০ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৫:১৩ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের সীমান্ত রক্ষায় নবীন সৈনিকরা প্রয়োজনে জীবন দেবে, তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটিও হাতছাড়া হতে দেবে না- এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বায়তুল ইজ্জতের বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে ১০৩ তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: বাধ্যতামূলক অবসরে ডিএমপির সাবেক ৯ ওসি

বিজিবি ডিজি বলেন, ‘নবীন সৈনিকেরা কখনো দেশবাসীকে হতাশ করবে না। তাদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাই মানুষের শান্তির ঘুম নিশ্চিত করবে। সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচারসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে বিজিবির অবদান তুলে ধরেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘শৃঙ্খলা, সততা, বুদ্ধিমত্তা, আনুগত্য ও পেশাগত দক্ষতা একজন আদর্শ সৈনিকের মূল গুণ।’ নবীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এসব গুণ অর্জন করে তবেই তারা নিজেদের যোগ্য সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।’

আরও পড়ুন: হাসিনার প্রিজম দিয়ে বাংলাদেশকে দেখায় ভারতকে মূল্য দিতে হচ্ছে

নারী সৈনিকদের প্রসঙ্গে বিজিবি প্রধান বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান যেমন ছিল অবিস্মরণীয়, তেমনি আজকের নবীন নারী সৈনিকরাও বিজিবির সম্মান ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

কুচকাওয়াজ শেষে বিজিবির মহাপরিচালক সেরা চৌকস রিক্রুট ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জনকারী সৈনিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পরে আকর্ষণীয় ট্রিক ড্রিল ও ব্যান্ড ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়।

১০৩ তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয় গত ২৬ জানুয়ারি। ২৪ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষে ৬৯৪ জন (পুরুষ ৬৫৮, নারী ৩৬) রিক্রুট আনুষ্ঠানিকভাবে সৈনিক জীবনে প্রবেশ করে।

অনুষ্ঠানে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সেনা ও বেসামরিক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।