উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের মিশন স্থাপন সংক্রান্ত তবে খসড়া কি রকম ব্যবসা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ন, ১০ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৮:০৫ পূর্বাহ্ন, ১২ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

উপদেষ্টা পরিষদের সর্বশেষ বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খসড়া আইন ও আন্তর্জাতিক প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ক্রীড়া, পররাষ্ট্র, উন্নয়ন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়াটি নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পেয়েছে। এটি লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং শেষে উপস্থাপন করা হয়।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে 'গণহত্যাকারী' হিসেবে পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্তির ইঙ্গিত

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে মালয়েশিয়ার জোহর বাহরু শহরে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপনের প্রস্তাবও বৈঠকে অনুমোদন লাভ করে। এতে দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কনস্যুলার সেবা সহজতর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (OHCHR) একটি মিশন বাংলাদেশে স্থাপন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়াটি বৈঠকে চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়। এটি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন: সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা

বৈঠকে জাতিসংঘের ‘Optional Protocol to the Convention against Torture and Other Cruel, Inhuman or Degrading Treatment or Punishment (OP-CAT)’-এ বাংলাদেশকে পক্ষভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে কনভেনশনটিতে সই করলেও এখন প্রথমবারের মতো এর পরিপূরক প্রটোকলে যুক্ত হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে নির্যাতন প্রতিরোধে আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণের পথ সুগম হবে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়াও চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এতে মহেশখালীর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনের পথ প্রশস্ত হলো।

বৈঠকে সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টির কারণে ফেনী ও নোয়াখালীতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, মুসাপুর রেগুলেটর ও বামনি ক্লোজারের নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং ফেনীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্পও অনুমোদিত হয়েছে। নোয়াখালীর খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও জানানো হয়।

এছাড়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ, তীর প্রতিরক্ষা এবং পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কেও উপদেষ্টাদের অবহিত করা হয়।