উত্তেজনা কমাতে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২২ পূর্বাহ্ন, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:৪১ পূর্বাহ্ন, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘিরে উত্তেজনা প্রশমনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারও দুই দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।

রাজনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হলে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী টেলিফোনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে অযথা ভিড় না করার জন্য পুলিশের অনুরোধ

এর আগে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলে। দিনজুড়ে ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাগছাস-সমর্থিত প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে। বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ ও আশপাশ এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।

সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। মহানগর ছাত্রদল বাংলামোটর থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসে। নয়াপল্টনেও বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হন। একই সময়ে শাহবাগ এলাকায় অবস্থান নেয় জামায়াতের নেতাকর্মীরাও। এতে দুই পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষের শঙ্কা তৈরি হয়।

আরও পড়ুন: নেপালে অভ্যুত্থানের অন্যতম কারণ পিআর নির্বাচন পদ্ধতি: আলাল

পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে উভয় দলকে বার্তা দেওয়া হয় যে, বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সমকালকে বলেন, “আইন উপদেষ্টা এবং আরও কয়েকজন ফোন করেছিলেন। তারা উত্তেজনা কমাতে পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা আশ্বস্ত করেছি, সংঘাতের কোনো আশঙ্কা নেই। নেতাকর্মীদেরও সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতারাও সরকারের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, জামায়াত সংঘর্ষে জড়াবে না, তবে ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ ছেড়ে যাবে না।