এনসিপিকে বেগুন-বালতিসহ ৫০ প্রতীকের অপশন

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)কে শাপলা প্রতীক দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরিবর্তে দলটিকে বেগুন, বালতিসহ ৫০টি প্রতীক থেকে একটি বেছে নিতে বলা হয়েছে।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার উপ-সচিব মো. রফিকুল ইসলাম এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এনসিপি প্রথমে শাপলা, কলম ও মোবাইল প্রতীক চেয়েছিল। পরে সংশোধন করে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা প্রতীক চাওয়া হয়। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী শাপলা প্রতীক অনুমোদিত তালিকায় নেই। তাই দলটিকে নতুন প্রতীক বেছে নিতে বলা হয়েছে।
ইসি জানায়, আলমিরা, খাট, উটপাখি, ঘুড়ি, কাপ-পিরিচ, চশমা, দালান, বেগুন, চার্জার লাইট, কম্পিউটার, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টিফিন ক্যারিয়ার, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, টেলিফোন, ফ্রিজ, তবলা, বক, মোরগ, কলম, তরমুজ, বাঁশি, লাউ, কলস, চিংড়ি, থালা, বেঞ্চ, লিচু, দোলনা, প্রজাপতি, বেলুন, ফুটবল, ফুলের টব, মোড়া, বালতি, কলা, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, ময়ূর, মোবাইল ফোন, শঙ্খ, সেলাই মেশিন, সোফা, স্যুটকেস, হরিণ, হাঁস ও হেলিকপ্টার—এই ৫০ প্রতীকের মধ্যে থেকে এনসিপিকে বাছাই করতে হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা
শাপলা প্রতীক না পেলে আদায় করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে এনসিপির একটি প্রতিনিধি দল। তবে বিষয়টি হুমকি হিসেবে নেননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন,রাজনৈতিক নেতারা অনেক কথা বলেন। আমরা শ্রোতা হিসেবে শুনব এবং আইন অনুযায়ী কাজ করব। আমি এটিকে হুমকি মনে করি না।
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫২। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে এ প্রক্রিয়া চালু হয়। ইতিমধ্যে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হলেও সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে জামায়াতে ইসলামী পুনরায় নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া আরও ১৩টি দলের আবেদন পর্যালোচনায় রয়েছে।