২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি: বিজিএমইএ সভাপতি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ শুরু করেছে বিভিন্ন রপ্তানিকারক সংগঠন। তারা ইতোমধ্যে সদস্যদের কাছে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। সংগঠনগুলোর প্রত্যাশা, এক–দুই দিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে ঠিক কত পরিমাণ পণ্য ছিল তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যাবে।
তবে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে—কতদিন বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘ সময় বিমান চলাচল বন্ধ থাকলে শুধু যাত্রীরা নয়, রপ্তানিকারকরাও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন।
আরও পড়ুন: পাঁচ শতাংশ বাড়ি ভাড়া প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষকদের
বাংলাদেশ থেকে সাধারণত তৈরি পোশাক, শাকসবজি, ফলমূল ও পান—এ ধরনের পণ্যই বেশি রপ্তানি হয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিভিন্ন নথি ও ছোট পণ্য পাঠানো হয়, যা এই দুর্ঘটনায় প্রভাবিত হতে পারে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ঠিক কত পরিমাণ পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এখনো তা জানা যায়নি। তবে প্রতিদিন গড়ে ২০০–২৫০টি কারখানার পণ্য বিমানপথে পাঠানো হয়। সে হিসেবে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রতিষ্ঠান ক্ষতির ঝুঁকিতে আছে।
আরও পড়ুন: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫ শতাংশ বাড়ালো সরকার
তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরের কার্যক্রম দ্রুত স্বাভাবিক না হলে রপ্তানিকারকদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠবে। যত দ্রুত বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করা যাবে, তত কম হবে ক্ষতি।
সবজি ও পচনশীল পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এস. এম. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমাদের পণ্য পরিবহন নির্ভর করে বিমানের ফাঁকা জায়গার ওপর। প্রতিদিন সমান পরিমাণ পণ্য থাকে না। আজকের ঘটনায় কোন সদস্যের কত পণ্য ছিল, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো সময়। পচনশীল পণ্য বেশি দিন আটকে থাকলে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আমরা চাই, বিমান চলাচল দ্রুত স্বাভাবিক হোক।