অস্তিত্বের প্রশ্নে হিম্মতের সঙ্গে কাজ করতে হবে : ইউএনওদের ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার জন্য সবচেয়ে ‘কনসিকন্সিয়াল নির্বাচন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। মাঠপর্যায়ে দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কঠোরভাবে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ইউএনওদের জন্য আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কমিশনের দুই সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: বিজিবিতে নতুন ২ হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি
তারা বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করা এখন প্রশাসনের হাতে, এবং এজন্য আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে। কারো পক্ষে প্রশাসনিক প্রভাব খাটানো বা পক্ষপাত দেখানোর সুযোগ থাকবে না।
কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পর প্রশাসনে যে ভয়-ভীতি কাজ করছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এখন ‘নিষ্ঠা ও সাহসিকতার পরিচয় দেওয়ার সময়’। তিনি এটিকে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য “বিশ্বাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধারের সুযোগ” হিসেবেও বর্ণনা করেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকার যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখে
অন্যদিকে কমিশনার সানাউল্লাহ ইউএনওদের সতর্ক করে বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রয়োগে শৈথিল্য দেখানো হলে কোনো পক্ষের প্রভাবমুক্ত কাজ বলা যাবে না। তিনি প্রয়োজন হলে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনারও নির্দেশ দেন।
কমিশন মনে করছে, শিডিউল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মাঠ প্রশাসনের ওপর নজর বাড়বে এবং যে কোনো পক্ষপাত অভিনেত্রীভাবে সামনে চলে আসবে। তাই আগেভাগেই প্রশাসনিক প্রস্তুতি জরুরি।