গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে যমুনায় আট ইসলামী দলের প্রতিনিধিদল

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ন, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৩:০৩ অপরাহ্ন, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নভেম্বরে গণভোট আয়োজ ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মারকলিপি দিতে যমুনায় পৌঁছেছেন আট ইসলামী দলের প্রতিনিধিরা।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় প্রতিনিধিদল পৌঁছায় বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: বিসিএস পশুসম্পদ ক্যাডারে সমন্বিত মেকআপ কোর্সের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার। তার সঙ্গে ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) সেক্রেটারি মুহা. নিজামুল হকসহ অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতারা।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্মারকলিপি নিয়ে যমুনা অভিমুখে যাত্রার সময় মৎস্য ভবনের সামনে তাদের আটকে দেয় পুলিশ।

আরও পড়ুন: ফোনে অশোভন বার্তা পাঠালে দুই বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত

এদিন সকাল থেকেই মতিঝিলের শাপলা চত্বর ও পল্টন মোড়ে জড়ো হন জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামী দলের কর্মী-সমর্থকরা। বেলা ১১টার পর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন তারা। শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য শেষে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হয়।

আট ইসলামী দলের যুগপৎ এই আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শাহবাগ, কাকরাইল, পল্টন ও যমুনা এলাকার আশপাশে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে।

জামায়াত ছাড়া অন্য দলগুলো হলো—

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)।

প্রতিনিধি দলের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

১. জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন,

২. জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু,

৩. নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করা,

৪. ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার’ দৃশ্যমান করা,

৫. স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।