ঐকমত্য কমিশনের মোট ব্যায় ১কোটি ৭১লাখ, আপ্যায়নে ৪৫ লাখ

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, ০৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়ন ব্যয় নিয়ে একটি মহলের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে কমিশন। সম্প্রতি দাবি করা হচ্ছে, কমিশন আপ্যায়ন খাতে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে— যা কমিশন “সর্বৈব মিথ্যাচার ও পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা” বলে মন্তব্য করেছে।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ধরনের অপপ্রচার উদ্দেশ্যমূলক এবং অপপ্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য সংগ্রহ করেননি; এমনকি তথ্য যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়নি।

আরও পড়ুন: আজ ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

কমিশন জানায়, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যক্রম শুরুর পর ২০২৪–২৫ ও ২০২৫–২৬ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির মোট বরাদ্দ ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ৩১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের মাত্র ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

এর মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা; যেখানে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা। কমিশন জানায়, এই ব্যয়ের বড় অংশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ, সভা এবং বৈঠকের খরচ।

আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান

প্রথম পর্যায়ে (২০ মার্চ–১৯ মে ২০২৫) রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ৪৪টি বৈঠকে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ব্যয় হয়েছে ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। প্রতিদিনের গড় ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।

তৃতীয় পর্যায়ে ৭টি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন, এবং এই পর্বের মোট ব্যয় ছিল ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।

এর বাইরে কমিশনের ৫০টি অভ্যন্তরীণ সভায় ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।

রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সাংবাদিক সম্মেলনসহ ১৩টি সভায় ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৩৪০ টাকা।

কমিশন বলেছে, উপরের বিস্তারিত তথ্য প্রমাণ করে যে ৮৩ কোটি টাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক এবং কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা।

সংস্থাটি জানায়, পুরো কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা নিয়মিত তথ্য পেয়েছেন এবং বাংলাদেশে এই প্রথমবার রাজনৈতিক দলের আলোচনা সরাসরি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে।

কমিশনের আশা, অপপ্রচারকারীরা ভুল তথ্যের জন্য ক্ষমা চাইবেন এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যম সত্য তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।