আজ ঘোষণা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:১৬ পূর্বাহ্ন, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:২৫ অপরাহ্ন, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে দুই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তার বক্তৃতার রেকর্ডিং ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

ঘোষণার আগে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বুধবার দুপুরে কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করে।

আরও পড়ুন: রিজওয়ানা হাসান তথ্য, আদিল এলজিআরডি ও আসিফ নজরুল যুব ও ক্রিয়ার দায়িত্বে

ইসি সূত্রে জানা যায়, আইন অনুযায়ী সংসদীয় আসন পুনর্র্নিধারণের গেজেট ছাড়া ৩০০ আসনের তফসিল ঘোষণা করা সম্ভব নয়। কিন্তু আপিল বিভাগ বাগেরহাটের একটি আসন কমানোর বিষয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখায় পূর্বের গেজেট অকার্যকর হয়ে যায়। তাই নতুন আদেশ অনুযায়ী বাগেরহাটে ৪টি ও গাজীপুরে ৫টি আসন পুনর্বহাল করে নতুন সীমানা গেজেট প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় ২৯১ আসনে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।

সূত্র আরও জানায়, কমিশনের সামনে রিভিউয়ের সুযোগ থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা আদালতের রায় মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, তফসিল ঘোষণার আগে আদালতের আদেশ ইসিতে পৌঁছাবে এবং দ্রুতই নতুন গেজেট প্রকাশ করা হবে।

আরও পড়ুন: সংসদ নির্বাচনের পর পদত্যাগ করতে চান রাষ্ট্রপতি: রয়টার্স

এদিকে বুধবার ইসি ভবনে ব্রিফিংয়ে সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, এখন পর্যন্ত তারা আদালতের রায়ের কপি পাননি, তাই আপাতত আগের মতোই ৩০০ আসনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।

গত ৪ সেপ্টেম্বর ইসি ১৬ জেলার ৪৬টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করে নতুন খসড়া চূড়ান্ত করে। এতে বাগেরহাটে আসন কমে ৪ থেকে ৩ হয় এবং গাজীপুরে ৫ থেকে বেড়ে ৬ হয়। আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী এখন আগের কাঠামোই ফেরত আসছে।

নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ বলে জানিয়েছে ইসি। বুধবার সিইসির নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত জানায়। রাষ্ট্রপতি একে যৌক্তিক বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সাক্ষাতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, প্রবাসী ভোটারের ওসিভি ভোট, দেশের অভ্যন্তরে ডাকযোগে আইসিপিভি ভোট এবং একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে আলাদা ব্যালট ব্যবহারের পরিকল্পনাও উপস্থাপন করা হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এর আগে প্রধান বিচারপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও কমিশন নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করে এবং দু’জনই কমিশনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের ৪২,৭৬১টি ভোটকেন্দ্রে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সংসদ নির্বাচনে সাদা রঙের ব্যালট এবং গণভোটে গোলাপি রঙের ব্যালট ব্যবহার করা হবে।