গ্যালারী হামিদুজ্জামানে চলছে যৌথ প্রদর্শনী ‘ছকের বাইরে জীবন’

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৯:১৯ অপরাহ্ন, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৯:১৯ অপরাহ্ন, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পেইন্টিং থেকে ভাস্কর্য, আবার ভাস্কর্য থেকে পেইন্টিংয়ে তার শিল্পযাত্রা। কঠিন পাথর বা ধাতবে মুগ্ধতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবয়বগুলো জলরঙের জাদুতে মূর্ছনা ছড়ায়। আর এখানেই প্রয়াত শিল্পী হামিদুজ্জামান খান হয়ে উঠেছিলেন অনন্য।

তারই স্মরণে মেট্রো গ্রুপের অর্থানুকুল্যে তাদের জমি ও স্থাপনায় স্থাপিত হয়েছে গ্যালারী হামিদুজ্জামান। নাম প্রস্তাব করেন হামিদুজ্জামান খানের অন্যতম প্রিয় শিক্ষার্থী স্থপতি ভাস্কর নাজম। এই নামকরণ ভাস্কর হামিদুজ্জামানের সহধর্মিণী শিল্পী আইভি জামান, তাদের দুই সন্তান এবং শিল্প শুভানুধ্যায়ীগণ কর্তৃক সমাদৃত হয়। স্থপতি ভাস্কর নাজমের নিজের প্রতিষ্ঠান গ্রিন-এক্সিম গ্লোবাল লিমিটেড মেট্রো গ্রুপের পক্ষে গ্যালারী নির্মাণে মূল ভূমিকা পালন করে। ধানমণ্ডী ২ নম্বর সড়কে ৩৩ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত গ্যালারীটি।

আরও পড়ুন: টিকাদান সম্প্রসারণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত

এখানেই শুরু হয়েছে প্রয়াত ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান ও তার স্ত্রী শিল্পী আইভি জামানের যৌথ প্রদর্শনী ‘ছকের বাইরে জীবন’। এটি যেন ভাস্কর হামিদুজ্জামান খানের কাজের ধারার কথাই বলে। যেমনটা তিনি নিজ সমাজে প্রচলিত কাজের ধারার বাইরের নিজস্ব স্বকীয় ধারার প্রবণতাকে গড়ে তুলেছেন। প্রতিনিয়ত নিজের গণ্ডি ছাড়িয়ে নতুন দিগন্তে পৌঁছেছেন তিনি।

ভাস্কর হামিদুজ্জামান সারা পৃথিবীর যা কিছু ভালো মনে করেছেন, তাকে আত্মীকরণ শেষে স্থানীয় সংস্কৃতির ধারায় পুনর্নির্মাণ করেছেন। অবশ্য ‘ছকের বাইরে জীবন’ তার খণ্ডাংশই উপস্থাপন করবে, সীমিত পরিসরে, উদ্যোগের আতিশয্যে।

আরও পড়ুন: খুব শিগগিরই কাসেমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকবে দুদক

গ্যালারী হামিদুজ্জামানের প্রথম প্রদর্শনী ‘ছকের বাইরে জীবন’ ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন খোলা থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য সকাল এগারোটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। ভাস্কর হামিদুজ্জামানের ঘর ও বাইরের ভাস্কর্য ও চিত্রকর্ম এখন থেকে অত্র গ্যালারী থেকে সংগ্রহ করা যাবে। শিল্পী হামিদুজ্জামানের সর্বশেষ অসমাপ্ত কাজও রাখা হয়েছে প্রদর্শনীতে, যা আমাদের নানান চলমান অসমাপ্ত গল্পের কথা বলে।

মাসব্যাপী প্রদর্শনীতে নানান মাধ্যমের প্রায় পঞ্চাশটি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। ঘরের ও বাইরের ধাতব ভাস্কর্য ছাড়াও জলরঙ, তেল রং, এক্রিলিক মাধ্যমে কাজগুলো করা হয়েছে কাগজ ও ক্যানভাসে, যেগুলো আগ্রহীগণ সংগ্রহও করতে পারবেন। ভাস্কর্য আছে লোহা, পেইন্টেড মেটাল, পিতলের।

ভাস্কর আইভি জামান বলেন, “এটি আমাদের দুজনের একটি যৌথ শো। এটা চিন্তা করেছেন ভাস্কর নাজম। তিনি একজন স্থপতি। আর গ্যালারি তিনি শুরু করেছেন। তিনি বুয়েটে আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টে পড়ার সময় হামিদুজ্জামান শিক্ষক ছিলেন। ভাস্কর নাজম তখন হামিদুজ্জামানের কাছে ভাস্কর্য নিয়ে ক্লাস করেছেন। সেই স্মৃতি থেকে গ্যালারি হামিদুজ্জামান নামটি স্থপতি ভাস্কর নাজম দিয়েছেন।”