একজন দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় : প্রধান উপদেষ্টাকে মামুনুল হক

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ন, ৩১ অগাস্ট ২০২৪ | আপডেট: ১:৪৫ অপরাহ্ন, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠকে বেশকিছু সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে সাতটি ইসলামী দল। তার মধ্যে অন্যতম হলো দুই বারের বেশি যেন কেউ প্রধানমন্ত্রী না হয়।

শনিবার (৩১ আগস্ট) যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক শেষে এ কথা জানান বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আমাদের পক্ষ থেকে।

নতুনভাবে সংস্কার করে যেন নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যায়। তার জন্য আমূল পরিবর্তনের একটি সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে এসেছি।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

তিনি বলেন, দেশব্যাপী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন করা যায়, সেই ধরনের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মৌলিক প্রস্তাবনা আমরা দিয়েছি। এছাড়া বিচার বিভাগ প্রশাসন ও শিক্ষায়সহ বিশেষ করে এককেন্দ্রিক ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর পদ যেখান থেকে স্বৈরাতন্ত্রের উদ্ভব, সেই জায়গাটিকে যেন ভারসাম্য তৈরি করা হয়।

এ জন্য সাংবিধানিক প্রস্তাব করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থার বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে, সেটি যেন পুনর্বহাল করা হয়। সংশোধনী এনে তা পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছি। দুই বারের বেশি কেউ যেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে না পারে এ প্রস্তাবনা করেছি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম। যমুনায় এই ছয়টি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রথমে বৈঠক করেন।

আজ সন্ধ্যা সাতটায় জাতীয় পার্টি নেতা জিএম কাদেরের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের কথা রয়েছে।

এর আগে গত ১২ ও ১৩ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার চার দিনের মাথায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, জামায়াতে ইসলামী, কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-সহ কয়েকটি দল ও জোটের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।